জমি অধিগ্রহণ নিয়ে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠল। তাও আবার তাতে জড়িয়ে গেল প্রশাসন। এই নিয়ে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারে। সেখানে জাতীয় সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা জাল অ্যাকাউন্টে পাচার হয়ে গেল। এমনকী এই অভিযোগ মেনে নিল প্রশাসন। জমিদাতা সবিতা রায়কে তাঁর অ্যাকাউন্টে ওই টাকা দিয়ে দিয়েছে রাজ্যের ভূমি দফতর। আর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলিপুরদুয়ার থানায় অভিযোগও করা হয়েছে। কারণ আগের টাকা ভুয়ো অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে।
এই ঘটনায় সবাই তাজ্জব হয়ে গিয়েছে। তখন সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে যে লেনদেন হয়েছে, তাদের কাছেও তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে প্রশাসন। এমনকী জমি অধিগ্রহণে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সুতরাং জাতীয় সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণ নিয়ে নানা অভিযোগ নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
ভূমি দফতর সূত্রে খবর, গুজরাত থেকে অসম পর্যন্ত ইস্ট–ওয়েস্ট করিডরের এনএইচ–৩১ডি রাস্তা তৈরিতে আলিপুরদুয়ারে জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়। কিন্তু সময় অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণ না করায় জটিলতা বাধে। আবার নতুন করে জমি নিতে গেলে মামলা হয়। এই পরিস্থিতিতে আলিপুরদুয়ার ব্লকের চ্যাংপাড়া মৌজায় সবিতা রায়ের জমির অধিগ্রহণ করার আগে তিনটি অ্যাকাউন্টে তাঁর প্রাপ্য প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ টাকা জমা দেয় ভূমি অধিগ্রহণ দফতর।
এরপরই নথি পরীক্ষা করে দেখা যায়, সবিতা রায়ের নামে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা অসমের একটি অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে। সেই টাকা সবিতা রায় পাননি। তখন ওই অ্যাকাউন্ট যিনি ব্যবহার করেন তিনি টাকা তুলে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন। এই মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। জেলা ভূমি অধিগ্রহণ দফতর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে। এবার এই গোটা আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।