দলে পদ পাওয়ার পর এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই দলবদল করে তৃণমূলে গেলেন বিজেপি–র বর্ধমান শহরের ৪ নম্বর মণ্ডলের যুব মোর্চার পাঁচ নেতা। শনিবার জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি রাসবিহারী হালদারের হাত থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন তাঁরা। এ ব্যাপারে রাসবিহারী হালদার জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে শামিল হতে ও যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কাজ করার জন্য তাঁরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
তবে ইতিমধ্যে এ ঘটনাকে ঘিরে দুই প্রতিপক্ষের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই যোগদানের ব্যাপারে বিজেপি যুব মোর্চার শহর সভাপতি শুভম নিয়োগীর দাবি, ‘ভয় দেখিয়ে, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বিজেপি–র নেতাদের দলে টানছে তৃণমূল।’ এদিকে, যুব তৃণমূল সভাপতি রাসবিহারী হালদারের পাল্টা অভিযোগ, ‘দলের নেতাকর্মীদের পদ দেওয়ার ব্যাপারে বিজেপি–তে সমস্যা রয়েছে। ক্লাস ফাইভ পাস নেতাকে লিগ্যাল কমিটির সদস্য করেছে যুব মোর্চা। যাঁরা এটা মেনে নিতে পারছেন না, যাঁরা ভাল, তাঁরা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে।’
শনিবার বর্ধমানের বেড় মোড়ে এক অনুষ্ঠানে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন বিজেপি যুব মোর্চার শহরের ৪ নম্বর মণ্ডলের সহ সভাপতি অমিত অধিকারী, সম্পাদক শুভদীপ হাজরা, যুব মোর্চার ৪ নম্বর মণ্ডলের সদস্য নেপালবাউল দাস, বুথ সভাপতি সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় ও লিগাল কমিটির সদস্য শেখ বাপন। তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করে অভিযোগ করেছেন, বিজেপি–তে সম্মান নেই। যোগ্য পদ পাওয়া যায় না। যদিও স্থানীয় বিজেপি যুব মোর্চার নেতা শুভম নিয়োগী জানিয়েছেন, তৃণমূলের অনেকেই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাঁরা যে কোনও সময় বিজেপি–তে যোগ দিতে পারেন।