পরিকল্পনা করা হয়েছিল ব্যাঙ্ক ডাকাতির। কিন্তু শাটার ভেঙে ব্যাঙ্কে ঢুকে টাকা লুঠের আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ল পাঁচ ডাকাত। সুতরাং পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হল না। মধ্যরাতে ডাকাতি করতে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রসুলপুরে একটি সমবায় ব্যাঙ্কের শাখার সামনে জড়ো হয়। কিন্তু আগে থেকে খবর পেয়ে ডাকাতি করার আগেই সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ। বাকিরা পালাতে পারলেও পাঁচজন ধরা পড়ে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম সঞ্জু ঘোষ ওরফে গিনি, অভিজিৎ দে, শেখ জাভেদ ওরফে চিকনা, বাপি মণ্ডল এবং অভিজিৎ দত্ত। ধৃতরা বর্ধমান থানার রথতলা, ইছলাবাদ, নবাবহাট এবং কাঁটাপুকুর এলাকার বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে শাবল–সহ নানা সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হলে তাদের একসপ্তাহের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম।
জানা গিয়েছে, ডাকাতরা ব্যাঙ্কের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকলে ব্যাঙ্কের আধিকারিক তা বাড়িতে বসেই নিজের মোবাইলে দেখতে পান। কারণ সেই মোবাইলের সঙ্গে যুক্ত ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ক্যামেরা। এটা দেখে তিনি মেমারি থানায় খবর দেন। তখন বিশাল পুলিশ বাহিনী দ্রুত ব্যাঙ্কে পৌঁছে যায়। ঘিরে ফেলে প্রথমেই চারজনকে ধরে ফেলে পুলিশ। পরে আরও এক ডাকাতকে পাকড়াও করে।
এই ঘটনা নিয়ে সমবায় ব্যাঙ্কের আধিকারিক পার্থ দে জানান, কয়েকদিন আগে ওই এলাকার একটি গ্রামীণ ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সমবায় ব্যাঙ্কে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়। তার জন্যই ডাকাতি আটকানো গিয়েছে। পুলিশ দ্রুত ব্যাঙ্কে পৌঁছে যাওয়ায় ডাকাতরা কিছু লুঠ করতে পারেনি।