শুভেন্দু অধিকারী, মিহির গোস্বামীর মতো নেতাদের নিয়ে ঘোর সমস্যায় পড়েছে রাজ্যের শাসকদল। দিনের পর দিন বাড়ছে তাঁদের দলবদলের জল্পনা। এবার সেই জল্পনার আগুনে নতুন করে ঘি ঢাললেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। ছট পুজো উপলক্ষে শনিবার সকালে নৌকায় গঙ্গাভ্রমণের সময় তিনি দাবি করেন, ‘পাঁচজন সাংসদ যে কোনও মুহূর্তে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি–তে যোগ দিতে পারেন।’ তাঁর দাবি, তাঁদের মধ্যে নাকি রয়েছেন বর্ষীয়ান রাজনৈতিক তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও।
যদিও এ ব্যাপারে সৌগত রায় পরিষ্কার জানিয়েছেন, ‘এটা অসত্য প্রচারের একটা অংশ। অমিত মালব্য এসে এটা ওদের শিখিয়েছে। এটা আরএসএসের পুরনো কায়দা। এই অসত্য প্রচারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে। বিজেপি একটি আত্যন্ত সাম্প্রদায়িক দল। আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব, মরে যাব, কিন্তু বিজেপি–তে কোনওদিন যোগদান করব না।’
একইসঙ্গে অর্জুন সিং এদিন দাবি করেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে যেদিন শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি–তে যোগ দেবেন সেদিন আর এই সরকার থাকবে না। এই সরকার পড়ে যাবে।’ তাঁর কথায়, ‘শুভেন্দু অধিকারী জননেতা। শুভেন্দু অধিকারীর মতো এমন বহু নেতা তাঁদের ঘাম–রক্ত ঝড়িয়েছে, অনেক কষ্ট করেছে বলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ এই জায়গায় পৌঁছিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীকে অপমান করা হয়েছে। তাঁর মতো এক জননেতাকে আর এক মিনিটও তৃণমূলে থাকা উচিত নয়। এটা আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।’
অর্জুন সিং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এদিন বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ লোকজনের নামে মামলা করা হচ্ছে। যেভাবে আমাকে হেনস্থা করা হয়েছিল, ওই একই কায়দায় এখন শুভেন্দুকে হেনস্থা করা হচ্ছে। এমন এক জননেতাকে আটকানো যায় না।’ এ ব্যাপারে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘অর্জুন সিংয়ের মতো অপরিণত বাহুবলী ও আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত ব্যক্তির বিবৃতির প্রতিক্রিয়া দিতে আমার রুচি ও সম্মানে বাধে। আর শুভেন্দু অধিকারীর ব্যাপারে ও মন্তব্য করার কে? সেই মন্তব্য করবেন শুভেন্দু অধিকারী বা আমাদের দল। শুভেন্দু তো আমাদের দলেই আছেন।’