দুর্গাপুরের অন্ডাল এয়ারপোর্ট বা কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরের মাধ্যমে প্রতিদিন বহু যাত্রী ওঠা নামা করেন। বর্তমানে অন্ডাল থেকে মুম্বই, বেঙ্গালুরু, হায়রাবাদ, দিল্লি ও চেন্নাইয়ে বিমান চলাচল করে। তবে এবার অন্ডালের সঙ্গে আকাশ পথে যুক্ত হচ্ছে আরও বেশ কয়েকটি শহর। সেগুলি হল- বাগডোগরা, ভুবনেশ্বর এবং গুয়াহাটি। আর রাজ্যের একমাত্র বেসরকারি বিমানবন্দর অন্ডাল থেকে আকাশ পথে এই শহরগুলিতে উড়ান শুরু করবে উড়ান সংস্থা ইন্ডিগো। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পুজোর আগেই এই রুটে বিমান চলাচল শুরু করবে।
আরও পড়ুন: অন্ডালকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় সংশয়ে বিশেষজ্ঞরা
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, আগামী ৩০ অগস্ট থেকে ভুবনেশ্বর থেকে সপ্তাহে ৭ দিন অন্ডালে উড়ান চালাবে ইন্ডিগো। এর মধ্যে ভুবনেশ্বর থেকে চার দিন বাগডোগরা হয়ে অন্ডালে যাবে বিমান এবং বাকি ৩ দিন অন্ডাল হয়ে ভুবেনশ্বর যাবে বিমান এবং গুয়াহাটি যাতায়াত করবে। নতুন রুটে বিমান চালানোর সময়সূচি ইতিমধ্যেই প্রকাশ হয়েছে বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে। এর ফলে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষ করে বাগডোগরা রুটে বিমান পরিষেবা শুরু হওয়ায় উত্তরবঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজ হবে বলে তারা মনে করছেন।
কোন রুটে কখন ছাড়বে উড়ান?
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুবনেশ্বর থেকে অন্ডালের উদ্দেশ্যে বিমান যাত্রা শুরু করবে সকাল ১১ টা ১৫ মিনিটে এবং তা অন্ডাল বিমানবন্দরে পৌঁছবে দুপুর ১২ টা ৫৫ মিনিটে। সোম, বুধ, শুক্র ও রবিবার সেই বিমান দুপুর ১ টা নাগাদ অন্ডাল থেকে ছেড়ে ২ টো ২০ মিনিটে বাগডোগরা পৌঁছাবে। সেখান ২ টো ৫৫ মিনিট নাগাদ উড়ান শুরু করে অন্ডালে পৌঁছবে বিকেল ৪ টে ৫ মিনিটে। এরপর সেখান থেকে বিমানটি ভুবনেশ্বরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। সন্ধ্যা ৬ টায় সেখানে পৌঁছবে।
অন্যদিকে, সপ্তাহের বাকি তিন দিন ভুবনেশ্বর থেকে আসা বিমান দুপুর ১ টা নাগাদ রওনা দেবে গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে। সেটি ২টো ৪০ মিনিট নাগাদ গুয়াহাটিতে পৌঁছবে। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর বিকেল ৩ টে ১০ মিনিট নাগাদ উড়ান শুরু করে অন্ডালে পৌঁছবে বিকেল ৪ টে ৫০ মিনিটে। পরে সেখান থেকে ৫ টা ১০ মিনিটে উড়ান শুরু করে ৬ টা ৫৫ মিনিট নাগাদ ভুবনেশ্বরে পৌছবে।
উল্লেখ্য, অন্ডাল বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল ২০০৬–০৭ সালে। তারপরে কাজ শুরু হয়। প্রায় ৬ বছর পর ২০১৩ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমানবন্দরটি উদ্বোধন করেছিলেন। এই বিমানবন্দর তৈরি করা হয়েছিল সিঙ্গাপুরের চাঙ্গী এয়ারপোর্ট ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায়। আসানসোল–দুর্গাপুরে প্রচুর শিল্পাঞ্চল রয়েছে। ফলে এই বিমানবন্দরটির মাধ্যমে ওই সমস্ত এলাকার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এর পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং বীরভূমের বহু মানুষও যাতায়াতের জন্য এই বিমানবন্দরকে ব্যবহার করে থাকেন। রুট বাড়ায় সেখানকার মানুষজনের আরও সুবিধা হবে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ।