বহরমপুর গার্লস কলেজের ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে খুনের আগে ফ্লিপকার্ট থেকে খেলনা বন্দুক কিনেছিল সুশান্ত চৌধুরী। এই আবহে এবার ফ্লিপকার্ট কর্তাকে বহরমপুর আদালতে হাজিরা দিতে বলা হল এই মামলার শুনানিতে। আগামী বছর জানুয়ারিতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেই সময় সাক্ষ্য দিতে বেঙ্গালুরু থেকে বহরমপুর আসতে হবে ফ্লিপকার্টের নোডাল অফিসারকে। উল্লেখ্য, খুনের সময় ফ্লিপকার্ট থেকে কেনা খেলনা বন্দুক দেখিয়েই স্থানীয়দের ভয় দেখিয়েছিল সুশান্ত।
সরকার পক্ষের তরফেই ফ্লিপকার্ট কর্তার হাজিরার দাবি করা হয়েছিল আদালতে। বহরমপুর আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেন, ‘বন্দুকটি যে তাঁদের সংস্থা থেকেই কেনা সেটা আদালতে নিশ্চিত করতেই ওই ই-কমার্স সংস্থাটির কর্তাকে বিচারকের সামনে হাজির হতে হবে।’ এই আবহে সরকারের দাবি মেনে ফ্লিপকার্ট কর্তাকে ৭ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
চলতি বছরের ২ মে সন্ধ্যা ৬.৪০ মিনিটে বহরমপুরের গোরাবাজারে খুন হন কলেজছাত্রী সুতপা চৌধুরী। খুনের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সুশান্ত চৌধুরীকে সাগরদিঘি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গোয়েন্দাদের দাবি, প্রেমে প্রত্যাখ্যান ও সুতপার অন্য পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারেনি সুশান্ত। সুশান্তর পরিবারের দাবি, ৫ বছর ধরে সুতপার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তার। তবে সুশান্তকে এড়িয়ে যেতে শুরু করে সুতপা। এর জেরে নাকি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সুশান্ত। এদিকে সুতপার বাবা স্বাধীন চৌধুরী দাবি করেছিলেন, কয়েকবছর ধরেই সুতপাকে উত্যক্ত করছিল সুশান্ত। যার জেরে মালদা থেকে মেয়েকে বহরমপুরে কলেজে ভর্তি করেন তিনি। তার পরও সুতপার পিছু ছাড়েনি সুশান্ত। সুশান্তকে ফোনে ব্লক করে দেন সুতপা। পাঁছবার সিম বদলান। তবে শেষে সুশান্তর হাতে খুন হতে হয় সুতপাকে।