একদিকে টানা বৃষ্টি। আর অন্যদিকে তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিণতি। এর জেরে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত থেকেই তিস্তার অংসরক্ষিত এলাকায় লাল ও সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সংকেত জারি করা হয়েছিল। এদিকে কাছেই ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত। সীমান্ত ঘেরা একের পর এক গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করে। নিজতরফ, ফুলকাডাবরি, কুচলিবাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় জল ঢুকে যায়। কার্যত রাস্তার উপর দিয়ে জল বইতে শুরু করে। প্রায় দেড় হাজার বাড়ি জলমগ্ন হয়ে যায়। এর সঙ্গেই দুর্গতদের অভিযোগ, বাসিন্দাদের উদ্ধারের ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না প্রশাসন। খাবার, পানীয় জলের ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে। নোংলা জল খেতে বাধ্য হচ্ছেন বাসিন্দারা। মেখলিগঞ্জ ধাপড়া রাজ্য সড়কের উপরেও জল উঠে যায়।
চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা। দুর্গত বাসিন্দাদের অভিযোগ ঘরে ভাত বসানোর মতো পরিস্থিতি নেই। বাধ্য হয়েই বাসিন্দাদের একাংশ জলের মধ্যেই রাস্তায় বসে পড়েন। তাদের অভিযোগ, কোথাও কোনও সরকারি সহায়তা নেই। পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। দুর্গতরা নোংরা জলই খাচ্ছেন। এর সঙ্গেই সামান্য চিড়ে গুড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুর্গত মানুষরা দুপুরে কী খাবেন তা কেউ দেখছেন না। অপর এক বাসিন্দা প্রভাত কুমার রায় বলেন, যে কোনও সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। গোটা এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে। ঘরে ঘরে রান্না বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনও কোনও ব্যবস্থা করছে না। কার্যত নিদ্রাহীন রাত কাটাচ্ছেন দুর্গতরা। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।