নিম্নচাপের ফলে প্রবল বৃষ্টির জেরে অজয় ও তার শাখা নদনদীগুলির জলে প্লাবিত বীরভূম জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি চলছে শুক্রবারও। তার জেরে বিভিন্ন জায়গায় অজয় নদের পাড় ভেঙেছে। দুকুল ছাপিয়ে বইছে হিংলোর মতো অজয়ের শাখানদীগুলিও।
প্রবল বৃষ্টিতে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে তা টের পাওয়া যাচ্ছিল বৃহস্পতিবার থেকেই। শুক্রবারই সত্যি হল আশঙ্কা। তিলপাড়াসহ একাধিক জলাধার থেকে বিপুল পরিমাণে জল ছাড়ায় বীরভূমের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া অজয়, হিংলো সহ বিভিন্ন নদনদীতে হু হু করে বাড়তে শুরু করে জলস্তর। সেই জলস্তর নদী বাঁধ ভেঙে ঢুকে পড়ছে বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায়। বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বীরভূম ছাড়াও পূর্ব বর্ধমানের একাধিক গ্রাম।
সকাল থেকে হিংলো নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করেছে দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের পলাশডাঙ্গা গ্রামে। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রশাসনিকভাবে এই সব এলাকায় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শুধু নদী পাড় নয়, অতিবৃষ্টির কারণে ভেঙে পড়েছে বেশকিছু পুকুরের পাড়। যার ফলে মাছ চাষীরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন। নদী তীরবর্তী চাষযোগ্য বিঘার পর বিঘা জমি বর্তমানে জলের তলায়। দেবীপুর চর সম্পূর্ণ প্লাবিত হওয়ায় বাসিন্দাদের স্থানান্তরের কাজ চলছে। পুজোর মুখে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে চাষীদের মাথায় হাত।
দুবরাজপুর ব্লকের লোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের অতিবৃষ্টির কারণে ৫০টিরও বেশি কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই ভাবে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ইলামবাজার ও নানুর ব্লকে। নানুর ব্লকে থুপসরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিধাইয়ে ভেঙে গিয়েছে অজয় নদের বাঁধ। বাঁধ ভেঙে প্রবল গতিতে জল ঢুকে পড়েছে এলাকার ১৮ থেকে ২০টি গ্রামে। প্লাবিত হয়েছে বাসাপাড়া, তাখরা, রামকৃষ্ণপুর, সিন্দুরপুর। এই সকল এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছে প্রশাসন।