উত্তরবঙ্গের হাসিমারার কাছে মেচপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা জলবন্দি হয়ে পড়েছিলেন। প্রবল বৃষ্টি, তার সঙ্গেই স্রোতের মতো জল। আটকে পড়েছিলেন বাসিন্দারা। এরপরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেনার সহায়তা চাওয়া হয়েছিল। আর এরপরই দ্রুত উদ্ধারকাজে নামেন ত্রিশক্তি কর্পসের কৃপান ডিভিশন। অসম সাহসী সেনা জওয়ানরা ঝাঁপিয়ে পড়লেন। এরপর অন্তত ৭২জন গ্রামবাসীকে তাঁরা উদ্ধার করেন। তার মধ্য়ে ২৪ জন শিশুও ছিল। ত্রিশক্তি কর্পসের পক্ষ থেকে এনিয়ে টুইট করা হয়েছে।
সেখানে লেখা হয়েছে, হাসিমারার মেচপাড়া গ্রামে আটকে পড়েছিলেন বাসিন্দারা। বন্যার জেরে তারা আটকে পড়েছিলেন। ৭২জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্য়ে ২৪জন শিশু ছিল। তাদের নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে বীর জওয়ানরা জলের মধ্য়ে দড়ি ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এরপর তারা একে একে দুর্গতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসছেন। রীতিমতো পিঠে চাপিয়ে শিশুদের নিয়ে আসছেন তারা।
সূত্রের খবর, গত দুদিন ধরেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। ভুটান পাহাড় থেকে পানা নদীতে জল নেমে আসে। তার জেরেই মেচপাড়া চা বাগান এলাকায় জল ঢুকে পড়ে। এরপরই বায়ুসেনার জওয়ানরা উদ্ধারে নেমে পড়েন। এনডিআরএফ, সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরাও এলাকায় গিয়েছেন। কেউ যাতে ভেসে না যায় সেটা দেখা হচ্ছে।
হাসিমারা-জয়গাঁ সার্ক রোডেও জল উঠে পড়ে। পরে জল ক্রমে নামতে থাকে। এদিকে চা বাগানের পাক্কা লাইন, মুন্সি লাইন, সহ একাধিক লাইনে জল ঢুকে পড়ে। স্থানীয় ভোলানালা ঝোরাতেও জল বাড়ছে। জল বাড়ছে তোর্সা নদীতেও। মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের একটি আইসিডিএস সেন্টার নদীর জলের তোড়ে ভেসে যায়। দলসিংপাড়ায় রাস্তার উপর দিয়ে জল বইছে। বহু বাড়ির ভেতর জল ঢুকে গিয়েছে। কার্যত প্রাণ হাতে করে বেরিয়ে এসেছেন বাসিন্দারা। তাদের আপাতত নিরাপদ জায়গায় রাখা হচ্ছে। কালজানি, বাংরি, পানা, তোর্সা, তিতি সহ একাধিক নদী ক্রমশ ফুঁসছে।
গোবরজ্যোতি নদীর উপর কালচিনি ব্লকের বিবাড়ি এলাকার একটি সেতু মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।মাদারিহাট থেকে টোটোপাড়া পর্যন্ত এলাকার বাসিন্দারাও মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন। তাদের অনেকেই জলবন্দি হয়ে পড়েন।