টানা বৃষ্টিতে ফুলে ফেঁপে উঠেছে নদীর জলস্তর। তার উপর জল ছেড়েছে ডিভিসি। তার জেরে একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় এতটাই জল জমে গিয়েছে যে, দোতলা বাড়িশুদ্ধু জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে। জলস্রোতে ভেঙে পড়েছে একাধিক সেতু। জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে।
রবিবার রাতেই খানাকুলে পৌঁছে ।যায় সেনা। সোমবার ভোর চারটে থেকে উদ্ধারকাজে নেমে পড়েছে সেনাবাহিনীর জওয়ানেরা। দুর্গত এলাকাগুলিয় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করতে উড়ানো হয় হেলিকপ্টার। সোমবার আরামবাগের পল্লিশ্রী এলাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে খানাকুলের প্লাবিত এলাকাগুলোয় পৌঁছান জওয়ানরা। দুর্গত এলাকাগুলো থেকে কয়েক দফায় বিপদে পড়া মানুষকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর মানুষেরা অনেকেই বাড়ি ঘর ছেড়ে আসতে চাইছিলেন না। তাঁদেরকে বুঝিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করে সুরক্ষিত জায়গায় পৌঁছে দেন সেনারা। বন্যার জেরে খানাকুলে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শনিবার কেশপুরের ঝেঁতলায় দীপক পাতর নামে এক যুবক জলে ডুবে মারা যায়। দাসপুরে নারায়ণ দোলুই নামে এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে ও দাসপুরেরই আর এক বাসিন্দা জলের তোড়ে ভেসে যান। মেদিনীপুরের ঘাটালেও বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। ঘাটাল জলের তলায়। সব চেয়ে আতঙ্কের বিষয় হল, ঘাটালে এতটাই জল জমে গিয়েছে যে, দোতলা বাড়িগুলোর পুরোটাই জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ জলবন্দি দশার মধ্যে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।