একটি কোম্পানির মারি প্লাস বিস্কুটের গুণগত মান নিয়ে উঠেছে বড়সর প্রশ্ন। এই বিস্কুট আদৌও নিরাপদ নয়। সম্প্রতি, নমুনা পরীক্ষা করে এমনই তথ্য জানতে পেরেছে স্বাস্থ্য দফতরের খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ। শুধু ওই বিস্কুটই নয়, একটি বেকারির ক্রিম রোল বিস্কুট, ভিন রাজ্যের একটি কোম্পানির ফ্রোজেন ডিজার্ট উইথ বিস্কুট কোন-ও মোটেও নিরাপদ নয়। তা জানতে পেরেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিতে পূর্ব বর্ধমানের খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ। ওই তিন কোম্পানি ও সংস্থাকে এই জাতীয় বিস্কুট উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিভাগের তরফে।
আরও পড়ুন: প্যাকেটে একটা বিস্কুট কম, আইটিসি–কে এক লক্ষ টাকা জরিমানা আদালতের
জানা গিয়েছে, গত বুধবার খাদ্য সুরক্ষা বিভাগের তরফে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই ধরনের বিস্কুট তৈরি এবং বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, গত মার্চ মাসে একটি নামি কোম্পানির মারি প্লাস বিস্কুটের ২৩২ গ্রামের প্যাকেট সংগ্রহ করেছিলেন বর্ধমান ২ নম্বর ব্লকের খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক। এরপর সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট দেখেই জানা যায় এই বিস্কুট মোটেও নিরপদ নয়। গত মার্চেই কালনা পুরসভার একটি বেকারি থেকে ক্রিম রোলের নমুনা সংগ্রহ করেছিল। সেটিও পরীক্ষা করার পর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় ‘আনসেফ’। অন্যদিকে, গত অগস্ট মাসে বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুরের একটি দোকান থেকে মিডিয়াম ফ্যাট ডিজার্ট বিস্কুট কোন - এর নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক। তাতে অবশ্য ব্যাচ নম্বর তারিখ ছিল না। সেটি পরীক্ষার পরে রিপোর্টে নিরাপদ নয় বলেই উল্লেখ করা হয়েছে।
এর পরে খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক উৎপাদনকারক সংস্থাগুলিকে চিঠি দিয়ে উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করতে বলেছে। বলা মারি প্লাস বিস্কুট উৎপাদক সংস্থাকে নির্দিষ্ট ব্যাচ এবং লট নম্বরের উৎপাদন এবং বিক্রি করতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও ডেজার্ট বিস্কুট উৎপাদনকারী উত্তরপ্রদেশের সেই সংস্থাকেও চিঠি একই মর্মে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বেকারিকেও বলা হয়েছে ক্রিম রোল উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করতে হবে। উল্লেখ্য, এর আগে একইভাবে একটি সংস্থাকেও খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করতে বলেছিল খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ। পাশাপাশি জুলাই মাসে শক্তিগড়ে বিভিন্ন ল্যাংচার দোকানে অভিযান চালিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। সেক্ষেত্রে কয়েক টন খারাপ ল্যাংচা মাটিতে পুঁতে নষ্ট করা হয়েছিল।