সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর, এগরা মহকুমায় অভিযান চালিয়েছিল জেলা খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। আর এবার সৈকত নগরী দিঘার একাধিক হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় অভিযান চালালেন আধিকারিকেরা। বৃহস্পতিবার ওই সমস্ত হোটেল, রেস্তোরাঁগুলিতে অভিযান চালিয়ে বড়সর সাফল্য পেয়েছে খাদ্য দফতর। উদ্ধার হয়েছে বাসি পচা খাবার। তারপরেই একাধিক হোটেল, রেস্তোরাঁর মালিকের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছেন আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: খবরের কাগজের ঠোঙায় মারণ বিষ! খাবার খেলেই বিপদ, কড়া ভাষায় বন্ধের নির্দেশ সরকারের
সাধারণত পর্যটনের মরশুমে দিঘায় প্রচুর মানুষের ভিড় হচ্ছে। ফলে সেখানকার হোটেল, রেস্তোঁরাগুলিতে প্রতিদিন প্রচুর মানুষের ভিড় হচ্ছে। তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেখানকার হোটেল, রেস্তোঁরাগুলিতে অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করার অভিযোগ সামনে আসছে। সেই অভিযোগ পাওয়ার পরেই জেলা খাদ্য সুরক্ষা দফতরের তরফে অভিযান চালানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে নিউ দিঘার অমরাবতী পার্কের কাছে একাধিক হোটেল, রেস্তোঁরাগুলিতে অভিযান চালানো হয়। সব মিলিয়ে ১০টির বেশি হোটেল, রেস্তোঁরায় অভিযান চালানো হয়। নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা অভিযান চালান সেখানে। অভিযান চালিয়ে বাসি, পচা অস্বাস্থ্যকর খাদ্য উদ্ধার করেন অধিকারিকরা। মূলত এই সমস্ত খাবার গরম করে পর্যটকদের খাওয়ানোর পরিকল্পনা ছিল হোটেল রেস্তোরাঁগুলির। শুধু তাই নয় এভাবেই তারা পর্যটকদের খাইয়ে থাকে। খাদ্য সুরক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হোটেলের রান্নাঘর থেকে এই সমস্ত খাবার উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও পচা রান্না করা মাছের ঝোল, তরকা, বিরিয়ানিও উদ্ধার হয়েছে। শুধু তাই নয় রেফ্রিজারেটর থেকে প্রচুর পরিমাণে কাঁচা মাছ এবং মাংস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পাশাপাশি একাধিক হোটেল থেকে বেআইনিভাবে খাবারে ব্যবহার করা রং, নোংরা জলও উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সেখানকার ১০টি হোটেলে এই ধরনের পচা, বাসি খাবার উদ্ধার হয়েছে। এরপরেই স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করার জন্য হোটেল এবং রেস্তোরাঁর মালিকদের নির্দেশ দিয়েছে জেলা খাদ্য সুরক্ষা দফতর। নোটিশ দিয়ে তাদের জানানো হয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করতে হবে তা না হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জেলা খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক বিশ্বজিৎ মান্না জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়ায় বাসি, পচা খাবার বাজেয়াপ্ত করে নষ্ট করা হয়েছে।