পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডল খুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করল ফরেন্সিক দল। পুলিশ সূত্রের খবর, সব্যসাচীবাবুকে কোপানোর পর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। রবিবার ফরেন্সিক আধিকারিকরা ঘটনায় আটক ৩ ব্যক্তিকেও দেরিয়াপুর গ্রামে নিয়ে যান। তবে কে বা কারা খুন করেছে তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি গোয়েন্দারা।
দ্বাদশীর রাতে রায়নার দেরিয়াপুরে গ্রামের বাড়িতে খুন হন হাওড়ার ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডল। বড়বাজারে ত্রিপলপট্টিতে বিশাল ব্যবসা তাঁর। বন্ধুকে নিয়ে শুক্রবারই গ্রামে বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। রাতে রান্নাবান্না চলাকালীন তাঁকে কেউ নীচে ডাকে। এর পরই সব্যসাচীবাবুর আর্তনাদে পরিবারের সদস্যরা ছুটে এসে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এই খুনের তদন্তে রবিবার ঘটনাস্থলে যান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। কী ভাবে খুন হয় তা পরিবারের সদস্যদের থেকে জানেন তাঁরা। এর পর ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করেন রক্তের নমুনা।
সব্যসাচীবাবুর বাবা দেবকুমার মণ্ডলের দাবি, সম্পত্তি বিবাদের জেরে ছেলেকে খুন করিয়েছে তাঁর ২ ভাইপো দীনবন্ধু ও সোমনাথ। সুপারি কিলার দিয়ে এই কাজ করেছে তারা। আগেও তারা সব্যসাচীবাবুকে মারধর এমনকী খুনের চেষ্টা পর্যন্ত করে বলে দাবি করেছেন তিনি।
যদিও কে বা কারা খুন করেছে তা এখনই বলতে নারাজ পুলিশ। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মিললে তবেই এব্যাপারে মন্তব্য করা হবে বলে জানানো হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের তরফে।