ময়নাগুড়ি রেল দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণে ঘাটতির দিকেই আঙুল তুললেন ফরেন্সিক দলের সদস্যরা। সোমবার ঘটনার ৫ দিনের মাথায় দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে ৩ সদস্যের ফরেন্সিক দল। দুর্ঘটনার অনুপুঙ্খ বৈজ্ঞানিক কারণ জানতে গুরুত্বপূর্ণ এই তদন্ত।
সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে রেলের ভাঙা স্লিপারের ছবি তোলেন তদন্তকারী দলের সদস্যরা। স্লিপারের কংক্রিটের নমুনা সংগ্রহ করেন। ঘুরে দেখেন গোটা এলাকা। দেখেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত রেকগুলিও।
এর পর তাঁরা চলে আসেন নিউ দোমোহনি স্টেশনে। সেখানে দুর্ঘটনাগ্রস্ত রেল ইঞ্জিনটি রাখা হয়েছে। সেখানে গিয়ে ইঞ্জিনটিকে খতিয়ে দেখেন তাঁরা। ভেঙে পড়া ট্র্যাকশন মোটরটি যেখানে লাগানো ছিল সেখানকার ধাতুর নমুনা সংগ্রহ করেন। এর পর ফরেন্সিক দলের তরফে জানানো হয়, প্রাথমিক তদন্তে রেল লাইনে কোনও ত্রুটি পাওয়া যায়নি। ওই রেল লেইন দিয়ে ঘন ঘন ট্রেন চলে। রেললাইনে ত্রুটি থাকলে আগেই টের পাওয়া যেত। অর্থাৎ ইঞ্জিনের ত্রুটিতেই যে দুর্ঘটনা তা এক প্রকার স্পষ্ট করে দিয়েছেন তাঁরা। তবে কেন মোটর খুলে পড়ল তা জানা যাবে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই।
বলে রাখি, গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুয়াহাটিগামী বিকানের এক্সপ্রেসের একাধিক বগি ছিটকে গিয়ে রেল লাইনের পাশে পড়ে। এমনকী ২টি বগি একে আপরের ওপরে উঠে যায়।