পাচার হওয়ার আগেই পাচারকারীদের লরির পিছু ধাওয়া করে প্রচুর পরিমাণে বার্মাটিক সেগুন কাঠ উদ্ধার করল বনবিভাগ। প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বাজারদর মূল্যের সেগুন কাঠ পাচারকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে। সেই সঙ্গে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে বনবিভাগ। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে হানা দিয়ে রায়গঞ্জ বন বিভাগের আধিকারিকরা দুজনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি বার্মাটিক সেগুন কাঠ উদ্ধার করেছেন।
জানা গিয়েছে, বহু মূল্য বার্মাটিক সেগুন কাঠ পাচারের খবর আগে থেকেই ছিল বনবিভাগের কাছে। সেই উদ্দেশ্যে আধিকারিকরা প্রস্তুত ছিলেন। রায়গঞ্জের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ওভারলোড লরিটিকে দেখে সন্দেহ হয় আধিকারিকদের। এরপর বন বিভাগের আধিকারিকরা গাড়ি নিয়ে লরিটির পিছু ধাওয়া করেন একেবারে ফিল্মি কায়দায়। অবশেষে ইটাহারের কাছে লরিটিকে ওভারটেক করেন বন বিভাগের আধিকারিকরা। এরপরে লরিটিকে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। জানা গিয়েছে, পুলিশ বা বন বিভাগের চোখে ধুলো দিতে লরির উপরে বাঁশ দিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। সেগুলি সরাতেই বেরিয়ে আসে প্রচুর পরিমাণে বার্মাটিক সেগুন কাঠ।
রায়গঞ্জ বন বিভাগের আধিকারিক কমল সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে এই কাঠগুলি অন্ধ্রপ্রদেশের কার্নালে সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল। যে বার্মাটিক সেগুন কাঠ উদ্ধার হয়েছে সেগুলির বাজার দর আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা। এই পাচারচক্রের সঙ্গে কারা কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে বন বিভাগ। সেগুন কাঠ বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি লরি চালক এবং খালাসিকে গ্রেফতার করেছে বন বিভাগ।