অবশেষে ধরা পড়ল শিলিগুড়ি মহাকুমার নকশালবাড়ি হাতভরা জোত এলাকার ত্রাস চিতাবাঘ। গত এক সপ্তাহ ধরে চিতা বাঘের আতঙ্কে ঘুম উড়েছিল শিলিগুড়ি মহকুমা নকশালবাড়ি হাতভরা জতে এলাকার বাসিন্দাদের। কিছুদিন আগে এক চা শ্রমিকের উপর হামলা চালিয়েছিল চিতাবাঘ। তারপর থেকেই আতঙ্কে চা বাগানে যেতে ভয় পাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। অবশেষে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা বন্দি করা হল চিতাবাঘকে।
গতকাল চিতাবাঘ ধরতে একটি চা বাগানে খাঁচা পারেন বনদফতরের কর্মীরা। সোমবার ভোরে স্থানীয়রা দেখতে পারে সেই খাঁচাতে বন্দি হয়েছে চিতাবাঘটি। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বনদফতরকে। চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত এক সপ্তাহ ধরে এলাকায় চিতা বাঘের আতঙ্ক তৈরি হয়। প্রথমে স্থানীয়দের অনেকেই চিতাবাঘের বিষয়টি বিশ্বাস করতে চাননি। তারপর গত ২৬ এপ্রিল ওই এলাকার এক চা বাগানের শ্রমিকের হামলা করে চিতাবাঘ। কোনওভাবে ওই শ্রমিক চিতাবাঘের কবল থেকে প্রাণে বাঁচেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরেই খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। তারপর থেকে চিতাবাঘের সন্ধান করছিল বনদফতর। গতকাল ওই এলাকার একটি চা বাগানে চিতাবাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায়। তারপরে সেখানে চিতাবাঘ ধরতে খাঁচা পাতা হয়।
বনদফতরের অনুমান, কোনওভাবে ওই চিতাবাঘটি জঙ্গল থেকে লোকালয়ে চলে আসে। যে চা বাগান থেকে চিতাবাঘকে ধরা হয়েছে সেই চা বাগানের ম্যানেজার জানিয়েছেন, ‘গত শনিবার আমরা চিতা বাঘের খবর পায়। সেখানে গিয়ে পায়ের ছাপ দেখতে পায়। এরপর গতকাল আমরা বনদফতরকে খবর দিই। খবর পেয়ে বনদফতরের কর্মীরা গতকাল সন্ধ্যায় সেখানে চিতাবাঘ ধরতে খাঁচা পাতেন। সোমবার সকালে খাঁচায় চিতাবাঘটি বন্দি থাকতে দেখি।’ তবে গত কয়েকদিন ধরে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে যেভাবে বাঘের আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল সেটি খাঁচাবন্দি হওয়ায় সেই আতঙ্ক থেকে মুক্তি পেয়েছেন এলাকাবাসীরা।