মহালয়া মানেই তর্পণ। হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন নদীতে। কিন্তু কালনার ধাত্রীগ্রামে একেবারে ভিন্ন চিত্র। মাঝনদীতে ফাটানো হল একের পর এক জলবোমা। কারণ শুনলে হতবাক হবেন আপনিও। স্থানীয়দের দাবি আসলে এই নদীতে কুমির আছে বলে মনে করা হয়। এদিকে তর্পণের জন্য অনেকেই নদীতে নামতে চাইছিলেন। সেকারণে তাঁদের সুরক্ষার জন্যই জলবোমা ফাটানো হয়েছে। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের নির্দেশেই এই ধরনের বোমা ফাটিয়ে কুমির তাড়ানোর বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি।
বাসিন্দাদের দাবি, মাস কয়েক আগে ভাগিরথী নদীতে একটি কুমির ঘুরে বেড়াচ্ছিল বলে এলাকায় রটে গিয়েছিল। এরপর থেকেই নদীতে নামতে ভয় পান অনেকেই। এদিকে মহালয়ার দিন তর্পণ করার জন্য় অনেকেই নদীর পাড়ে জড়ো হয়েছিলেন। সেকারণেই আগাম ব্যবস্থা নেয় বনদফতর।
সূত্রের খবর মাঝনদীতে বোট নিয়ে চলে যান বনদফতরের কর্মীরা। এরপর সেখান থেকে জলবোমা ছোঁড়া হয়। কুমির থাকলেও সেটি যাতে কোনওভাবেই ঘাটের কাছাকাছি চলে না আসে সেকারণেই এই বিশেষ ব্যবস্থা।
তর্পণ চলাকালীন এদিন বনদফতরের কর্মীরা স্পিডবোট নিয়ে নদীর বুকে টহল দেন। স্থানীয়দের দাবি কুমিরের ভয়ে অনেকেই জলে নামতে ভরসা পাচ্ছিল না। তবে বনদফতরের উদ্যোগে স্বস্তি পান বাসিন্দারা। একের পর এক জলবোমা ফাটানো হয় নদীতে। কুমির তাড়াতে অভিনব উদ্যোগে। পাশাপাশি নদীর একাংশকে জাল দিয়েও ঘিরে দেওয়া হয়। বাসিন্দাদের সুরক্ষার জন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা।