পুরুলিয়া থেকে এবার বাঁকুড়া। কার্যত ঘোল খাওয়াচ্ছে বাঘিনী। রানীবাঁধে রয়েছে এই বাঘিনী। সেই বাঘিনীকে নিশানা করে শনিবার ঘুমপাড়ানি গুলি করা হয়েছিল বলে খবর। তবে সেই বাঘিনীকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করা গিয়েছে কি না সেটা পরিষ্কার নয়। তবে এবার দেখা যাচ্ছে সন্ধ্যা নামতেই জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় জ্বালানো হল আগুন। অন্তত ৩৫-৪০ পয়েন্টে এই আগুন জ্বালানো হয়েছে। ছোট ছোট জায়গা ভিত্তিক আগুন ধরানো হয়েছে। জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে জঙ্গল সংলগ্ন এলাকা। তারই সামনের ছোট ছোট জায়গায় আগুন জ্বালানো হয়েছে। সেখানে বনদফতরের কর্মীরা, হল্লা পার্টির লোকজনও রয়েছেন। তারা সবদিকে নজর রাখছেন। বাঘিনীতে বাগে আনতে সব চেষ্টা করছে বনদফতর।
বনদফতরের সামনে এখন দুটো চ্যালেঞ্জ। একটা হল বাঘিনী জিনতকে কাবু করা। আর দ্বিতীয়টি হল বাঘিনী যাতে লোকালয়ে চলে আসতে না পারে সেটা নিশ্চিত করা। সেকারণেই এবার জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। আর সেই জালের সামনেই ছোট ছোট এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে আগুন জ্বালানোর কাজ। তবে কি ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাজ হয়নি?
এদিকে রাতের পর রাত জাগছেন বনকর্মীরা। হল্লা পার্টি রাতদিন কাজ করছে। খালি মনে হচ্ছে এই বোধ হয় জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এল বাঘিনী জিনত। হয়তো বাঘিনী নজর রাখছে। চরম আতঙ্ক এলাকায়।
আপাতত আগুন জ্বেলে জঙ্গল ঘেরার কাজ শুরু করেছে বনদফতর। সূত্রের খবর শনিবার সকালে বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থানার গোঁসাইডিহি গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিল বাঘিনী জিনত। এদিকে এর আগে টোপ দিয়ে খাঁচা পাতা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজ বিশেষ কিছু হয়নি। এরপরই রাস্তা বদল করা হয়। কার্যত সবরকম পদ্ধতিই প্রয়োগ করেছে বনদফতর। কিন্তু এক জঙ্গল থেকে অপর জঙ্গলে চলে যাচ্ছে বাঘিনী। কিন্তু ধরা আর পড়ছে না।
তবে এদিন বাঘিনীকে লক্ষ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোঁড়া হয়েছিল। কিন্তু সেই গুলি আদৌ লেগেছে কি না সেটা পরিষ্কার নয়। সেকারণে এবার জঙ্গলের চারদিকের কিছুটা অংশ জুড়ে আগুন জ্বালানো হয়েছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত শনিবার সকালে বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থানার গোসাইডিহি গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিল জিনাত। রেডিও কলারের মাধ্যমে বাঘের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে বনদফতর। তারপরই বাঘিনীকে কাবু করতে ঘুমপাড়ানি গুলি। কিন্তু তাতেও কি কাবু হল না?