হলং বনবাংলোতে অগ্নিকাণ্ডকে ঘিরে একের পর এক প্রশ্ন সামনে আসতে শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল সর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লেগেছিল। তবে বনদফতর গোটা বিষয়টি একেবারেই হালকাভাবে নিতে চাইছে না। এবার হলং বাংলোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্পেশাল ইনভেসটিগেশন টিম তৈরি করেছে বনদফতর। সেই সঙ্গেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তবে ওখানে কী ধরনের বাংলো নাকি অন্য় কিছু তৈরি করা হবে তা নিয়েও চর্চা চলছে পুরোদমে।
সূত্রের খবর, ফালাকাটা থানায় এফআইআর করা হয়েছে। জলদাপাড়ার রেঞ্জ অফিসের তরফে এই এফআইআর করা হয়েছে। পুলিশ এনিয়ে মামলা রুজু করেছে। ফালাকাটা থানার টিম এলাকা ঘুরে দেখছে। আগুন লাগার সময় যে বনকর্মীরা ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।
এদিকে বনদফতরের উদ্যোগে স্পেশাল ইনভেসটিগেশন টিম। একাধিক বনকর্তা গোটা বিষয়টি নজর রাখছেন। যে সমস্ত বনকর্মীরা আগুনের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন তাদের সঙ্গে বনকর্তারাও কথা বলছেন। গোটা ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে।
এদিকে জঙ্গল বন্ধ থাকার জেরে ওই হলং বাংলোতে অগ্নিকাণ্ডের সময় কেউ ছিলেন না। সেই পর্যটকশূন্য বাংলোতে কীভাবে আগুন লাগল তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মধ্য়ে ছিল এই বনবাংলো। সেখানেই আগুন লাগে। আগুন লাগানো হয়েছিল কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ও বনদফতর আলাদা করে তদন্ত করে দেখছে। জলদাপাড়ার গেট থেকে অনেকটা যাওয়ার পরে এই হলং বাংলো পড়ত।
এদিকে প্রাথমিকভাবে দাবি করা হয়েছিল এসি থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও আগুন নেভানো যায়নি।
এদিকে এই হলং বনবাংলোর সঙ্গে বহু পরিবারের একটা নস্টালজিক ব্যাপার রয়েছে। ফেসবুকে সেই হলং বনবাংলোতে ঘুরতে যাওয়ার ছবিতে কার্যত ছেয়ে গিয়েছে। কে কবে সেই বাংলোতে ঘুরতে গিয়েছিলেন তারা নানা ছবি পোস্ট করা হচ্ছে। কিন্তু সেই বাংলো আজ অতীত। সর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগল নাকি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল তা নিয়ে নানা চর্চা চলছে। এরপর সেই বাংলোর জায়গায় নতুন করে কী ধরনের বাংলো তৈরি হবে, সেই নস্টালজিয়া কি ফিরবে নাকি বিলাসবহুল বাংলো তৈরির নাম করে বনের পরিবেশকে নষ্ট করা হবে? প্রশ্ন অনেক।
তবে আর কয়েকমাস পরেই পুজো। অনেকেই ভেবেছিলেন নির্জনে হলংয়ে কাটিয়ে দেবেন কয়েকটি দিন। কিন্তু সেটা আর হবার নয়। হলংয়ের সেই বাংলো আজ অতীত।