বনদফতর সূত্রে খবর, কয়েক দশক আগে বক্সার জঙ্গলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার থাকার বিষয়টি টের পাওয়া যেত। তবে পরবর্তীতে এনিয়ে নানা ধোঁয়াশা তৈরি হয়। চিতাবাঘ, ভাল্লুক, বানর, শেয়াল, প্যান্থার, হাতি, বাইসন, বুনো শূকর সহ অনেক জন্তুই রয়েছে বক্সায়। কিন্তু রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের উপস্থিতি নিয়ে নানা রহস্য থেকেই গিয়েছে। এবার সেই জঙ্গলেই নতুন করে বাঘ ছাড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এজন্য় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে দুটি বনবস্তিকে অন্যত্র সরানোও হতে পারে। অভিজ্ঞ মহলের মতে, বাঘ এলে বক্সার গুরুত্ব তো বাড়বেই। এর সঙ্গেই পর্যটকদের কাছে এই বনের আকর্ষণ আরও বাড়বে।
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে অসমের কাজিরাঙা থেকে কয়েকটি বাঘকে আলিপুরদুয়ারের এই সংরক্ষিত বনাঞ্চলে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বাঘেদের থাকার উপযোগী পরিবেশও করা হয়েছে। প্রায় তিন শতাধিক হরিণও ছাড়া হয়েছে জঙ্গলে। তাছাড়া অসমের জঙ্গলের সঙ্গে বক্সার জঙ্গলের খুব একটা ফারাক নেই। তবে গত কয়েকবছর ধরে বাঘের থাকার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে এলাকায়।
বনদফতর সূত্রে খবর, ৭৪০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় থাকা বনাঞ্চলের মধ্যে ৩৯০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা বাঘেদের কোর এরিয়া হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে। তবে আচমকাই মূল জঙ্গলে বাঘেদের ছাড়া হবে না। ধীরে ধীরে বক্সার পরিবেশের সঙ্গে তাদের খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করা হবে। সবদিন ঠিক থাকলে চলতি বছরেই বক্সায় আনা হবে বাঘেদের। এমনটাই খবর বনদফতর সূত্রে।