অসম থেকে ডুয়ার্স হয়ে নেপালে হাতির দাঁত পাচারের ছক বানচাল করল বন দফতর। ৩ কেজি ওজনের একটি হাতির দাঁত উদ্ধার করল বন দফতরের বিশেষ বাহিনী। এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে এক পাচারকারীকে। প্রায় তিন ফুট লম্বা তিন কেজি ওজনের হাতির দাঁতটি ১৫ লক্ষ টাকায় বিক্রির ছক কষেছিল পাচারকারী। যদিও তার আগেই ওই দাঁত–সহ পাচারকারীকে গ্রেফতার করেন বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত।
ঠিক কী ঘটেছে ডুয়ার্সে? বনদফতর সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় বেলাকোবা রেঞ্জের অফিসার সঞ্জয় দত্তর কাছে একটি খবর আসে। সেখানে বলা হয়, অসম থেকে হাতির দাঁত পাচার করা হচ্ছে। ওই দাঁতটি ১৫ লক্ষ টাকায় শিলিগুড়িতে বিক্রি করার ছক কষা হয়েছে। আর এটা পাচার করার জন্য দুই পাচারকারী একটি হাতির দাঁত নিয়ে শিলিগুড়ি উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। তখনই বৈঠকে বসেন সঞ্জয় দত্ত। আর পরিকল্পনা করে তৈরি করা হয় ধরার ছক।
তারপর ঠিক কী ঘটল? গোপন খবর পেয়ে সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে শিলিগুড়ি সংলগ্ন তিনবাত্তি মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাতির দাঁতটি উদ্ধার করেন বেলাকোবা রেঞ্জের অফিসার সঞ্জয় দত্ত। একটি বস্তায় ভরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল দাঁতটি। যদিও এই ঘটনায় এক পাচারকারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও আর একজন ধরা পড়ে যায়। আজ, রবিবার ধৃতকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হবে। এই দাঁতটি কেমন করে সংগ্রহ করা হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন বন দফতরের কর্মীরা। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কেমন করে ধরা হল? বন দফতর সূত্রে খবর, বেলাকোবার রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত তার টিম নিয়ে শিলিগুড়ির তিন বাত্তি এলাকায় ঘাপটি মেরে থাকেন। তাঁরা দেখতে পান, তিন বাত্তি এলাকায় একটি ট্রাক থেকে দু’জন ব্যক্তি নেমে আসে। তাদের হাতে বস্তা দেখতে পাওয়া যায়। বনকর্মীরা তাদের দিকে এগিয়ে যেতেই পালাতে থাকে তারা। তবে একজনকে ধরে ফেলা হয়েছে। ধাওয়া করে একজনকে পাকড়াও করা হয়। আর একজন চম্পট দিতে সক্ষম হয়। গ্রেফতার হওয়া পাচারকারীর নাম মনিকান্ত গোয়ালা। তার বাড়ি আলিপুরদুয়ার জেলায়। অসম থেকে হাতির দাঁত নিয়ে শিলিগুড়ি যাচ্ছিল দাঁত বিক্রির জন্য। দর ঠিক হয়েছিল ১৫ লক্ষ টাকা।