গতকাল সকাল থেকেই কুমিরের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাঘদিঘির কঙ্কনদিঘিতে। আতঙ্কে পুকুরে নামতে সাহস পাচ্ছিলেন না স্থানীয়রা। অবশেষে সেই কুমিরকে বাগে আনা সম্ভব হল। বনকর্মীদের তৎপরতায় ৮ ফুট লম্বা ওই কুমিরটি উদ্ধার হয়েছে।
ছোট ছোট পানায় ভর্তি ওই পুকুরটি অনিল দাস নামে এক বাসিন্দার। গতকাল সকালে পুকুরে কুমির নামতে দেখেন গ্রামের এক বাসিন্দা। খবর জানাজানি হতেই আতঙ্ক নেমে আসে গোটা এলাকায়। এরই মধ্যে একটি ছাগলকে খেয়ে ফেলে কুমিরটি। এর পরে বনদফতরকে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে, কুমির দেখতে পুকুরের চারপাশে ভিড় জমে আট থেকে আসি গ্রামের বহু মানুষের।
শুধু খেত মন্দিরের প্রসাদ! পৃথিবীর ‘একমাত্র’ নিরামিষাশী কুমির বাবিয়া মৃত
বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসার পর উদ্ধারকার্য শুরু করেন। শনিবার বিকেলে অবশেষে কুমিরটিকে ধরতে সক্ষম হন বনকর্মীরা। শারীরিক পরীক্ষার পর আজ সকালে কুমিরটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ঠাকুরানি খালে। আপাতত কয়েকদিন কুমিরটির উপর নজর রাখা হবে। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আট ফুট লম্বা এই কুমিরটি হল স্ত্রী কুমির। কোনওভাবে এই কুমিরটি চলে এসেছিল গ্রামের ওই পুকুরে। স্থানীয় বাসিন্দারা সাধারণত ওই পুকুরে সাধারণত জামা কাপড় কেচে থাকেন। এছাড়া অন্য কোনও কাজ তারা করতেন না। তবে কুমিরের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পরে পুকুরে জামা কাপড় কাচা বন্ধ করে দেন স্থানীয়রা। কুমিরটি ধরা পড়ার পর স্থানীয়রা অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।