আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াস রাজ্যে আছড়ে পড়বে বলে সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। তাই দুশ্চিন্তার প্রহর গুনছেন বন দফতরের কর্তারা। কারণ আগের বছর আমফানের দাপটে সুন্দরবনের ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকার বেশ কয়েকটি রেঞ্জে ছিঁড়ে গিয়েছিল নাইলন ফেন্সিং। এখন সুন্দরবনে লোকালয় ঘেঁষা জঙ্গল এলাকায় বাঘ–মানুষ সংঘর্ষের ঘটনা বেড়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাই সুন্দরবন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের চারপাশে ঘেরা জালের বেড়াগুলিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামত করা হচ্ছে। কারণ সেগুলির যা অবস্থা তা ঝনে ছিঁড়ে যেতে পারে। আর ছিঁড়ে গেলে লোকালয়ে চলে আসবে বাঘ।
বন দফতর সূত্রে খবর, এখন সুন্দরবনে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা ৯৬। ফেন্সিং ছিঁড়ে গেলে অনেক সময় বাঘ জলের তোড়েও লোকালয়ে চলে আসে। ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকার পাশে অনেক জনবসতি রয়েছে। তাই আপাতত উঁচু জালের ফেন্সিংদেওয়া হচ্ছে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অতিরিক্ত ফিল্ড ডিরেক্টর সৌমেন মণ্ডল বলেন, ‘ঝড়ে বাঘেদের ফেন্সিং ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই আলাদা দল গঠন করেছি।’
সুন্দরবন লাগোয়া গোসাবার সাতজেলিয়া দ্বীপের চরঘেরি গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অনেক সময় সুন্দরবনে প্রবল জলোচ্ছ্বাস হয়। তখন বাঘেরা ভয় পেয়ে লোকালয়ে চলে আসে। পিরখালি ব্লক, ঝিলা কমপার্টমেন্টের দিকে এমন আগে হয়েছে। জলের তোড়ে বনের দিক থেকে হরিণ ভেসে আসতেও দেখা গিয়েছে।’