সন্দেশখালির মণিপুরে ধরা পড়ল পূর্ণবয়স্ক বাঘিনী। রবিবার দিনভর আতঙ্কের পর ধরা পড়ল বাঘ। বনদফতরের ঘুমপাড়ানি গুলিতে নিস্তেজ হয়ে পড়লে গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় বাঘটিকে উদ্ধার করেন বনকর্মীরা।
রবিবার সন্দেশখালির মণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মিঠেখালি এলাকায় বাঘ দেখে চমকে ওঠেন স্থানীয়রা। সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে এই এলাকায় এর আগে কোনওদিন বাঘ দেখা যায়নি। রবিবার সকালে নদীর পাড়ে ঘাস কাটতে গেলে এক কৃষককে আক্রমণ করে বাঘটি। কোনওক্রমে রক্ষা পান ওই কৃষক। এর পর একটি লুকিয়ে পড়ে বাঘটি। ওদিকে বাঘ ঢোকার খবরে নদীর পাড়ে হাজির হন গ্রামবাসীরা। খবর যায় বনদফতরে।
জাল বন্দুক নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন বনকর্মীরা। এর পর শুরু হয় জাল দিয়ে জঙ্গল ঘেরার পালা। তখনও বাঘটি বেশ কয়েকবার হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বাঘটিকে বাগে আনতে এর পর ঘুমপাড়ানি গুলি ছোঁড়েন বনকর্মীরা। ৩টি গুলি ছোড়ার পর নিস্তেজ হয় বাঘটি। এর পর গ্রামবাসীদের সাহায্যে নৌকায় করে তাকে উদ্ধার করেন বনকর্মীরা।
এর পর বাঘটিকে নিয়ে যাওয়া হয় বাগনা বিট অফিসে। সেখানে শ্যাম্পু দিয়ে স্নান করানো হয় কাদামাখা বাঘটিকে। বনদফতরের তরফে জানানো হয়েছে, একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী বাঘ উদ্ধার হয়েছে। বাঘটির বয়স ৮ – ১০ বছর। সম্ভবত নদী পার করে এক জঙ্গল থেকে আরেক জঙ্গলে যেতে গিয়ে পথ ভুলে লোকালয়ে চলে এসেছে সে। কারণ মিঠেখালি ও সুন্দরবনের মধ্যে আরও ২টি গ্রাম রয়েছে। গ্রামের ওপর দিয়ে এলে কেউ না কেউ ঠিক দেখতে পেতই।