জঙ্গলমহলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মসূচিতে ব্যাপক সাডা় পড়েছে। বৃহস্পতিবার বান্দোয়ানে অভিষেকের কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে। বিগত দিনে বিশেষত বাম জমানায় এই বান্দোয়ান ও সংলগ্ন এলাকা ছিল মাওবাদীদের ডেরা। তবে তৃণমূল জমানায় সেসব কার্যত অতীত। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কর্মসূচি যাতে নিরাপদে হয় সেদিকে পুলিশ প্রশাসন এমনকী বনদফতরেরও কড়া নজর রয়েছে।
সূত্রের খবর, বান্দোয়ান ও সংলগ্ন বনাঞ্চলে ও সংলগ্ন এলাকায় গরমকালে সাপ, বোলতা, মৌমাছির উৎপাত থাকে। সেই সঙ্গেই হাতি, হায়না, হনুমানের উৎপাত যাতে না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে। মূলত আচমকা দলমা থেকে হাতির দল যাতে হুড়মুড়িয়ে এগিয়ে আসতে না পারে সেটাও দেখা হচ্ছে। সেকারণে হাতির গতিবিধি সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ রাখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যায় বান্দোয়ান ব্লক অফিসে জেলা প্রশাসনের একাধিক কর্তা ও তৃণমূল নেতৃত্ব সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। সেখানেই কয়েকজন বলে ওঠেন, বন্য প্রাণীদের নিয়ে একটা আশঙ্কা রয়েছে। তবে এই কথাকে একেবারেই ফেলে দেয়নি বনদফতর। অত্য়ন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
ঝাড়খণ্ড থেকে হাতির দল যাতে আসতে না পারে সেকারণে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। হাতি তাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট দলকেও মোতায়েন রাখা হচ্ছে। হনুমানদের রুখতে বাঁকুড়া থেকে বিশেষ টিম আনা হচ্ছে। তারা সবসময় নজর রাখবেন। বান্দোয়ানের শালতলা মাঠে শিবির করে রাত্রিবাস করতে পারেন অভিষেক। সেকারণে পুলিশ পাহারা পর্যাপ্ত থাকে। তার সঙ্গেই বন্যপ্রাণী, মৌমাছি, বোলতারা কার্যত ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে বনদফতরের। কারণ ওরা একেবারে অতর্কিতে হানা দেয়। কোনও আগাম বার্তা থাকে না। আর হানা যখন দেয় তখন একেবারে ছারখার করে দেয়। সিপিএম-তৃণমূল মানে না। সেকারণেই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।
সব মিলিয়ে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে একেবারে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ, প্রশাসন, বনদফতরের পাশাপাশি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও এনিয়ে যথেষ্ট সতর্ক। কারণ তাঁদের কাছে এই নবজোয়ারকে সফল করাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।