মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টচার্যের আত্মীয়কে। যে হাসপাতাল থেকে বছরকয়েক আগে তিনি চলে এসেছিলেন বলে সূত্রের খবর।
নাম গোপন রাখার শর্তে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁকে উদ্ধার করে কলকাতার একটি মানসিক হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ওই হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে যে কয়েক বছর আগেই সেখান থেকে স্বেচ্ছায় চলে গিয়েছিলেন। তবে বিস্তারিতভাবে হাসপাতালের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
দিনকয়েক আগে সামনে আসে যে ডানলপ মোড়ের কাছে ফুটপাতে এক বৃদ্ধা থাকছেন। যিনি বুদ্ধদেবাবুর আত্মীয়। বৃদ্ধার দাবি, খড়দহের একটি বালিকা বিদ্যালয়ের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন। ৩৪ বছর সেই স্কুলেই শিক্ষকতা করতেন। অনেক স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা হওয়ার সুয়োগ পেয়েছিলেন। কিন্তু খড়দহের স্কুল ছেড়ে যাননি। তারইমধ্যে ভাইরোলজিতে ডক্টরেট করেছেন বলে দাবি বৃদ্ধার।
যদিও সেই খড়দহের বাসিন্দা কীভাবে ডানলপ মোড়ে এলেন? সেই প্রশ্নের উত্তর না মিললেও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, একটা সময় বৃদ্ধা নাকি বরাহনগরে থাকতেন। তারপর শিয়ালদহ স্টেশন সংলগ্ন ফুটপাথে কয়েক বছর কাটিয়েছেন। এখন তাঁর ঠিকানা ডানলপ মোড়ের ফুটপাত। সেখানেই কোনওক্রমে দিন গুজরান করেন। ট্র্যাফিক পুলিশ থেকে স্থানীয় দোকানদার - সকলেই চিনে গিয়েছেন তাঁকে। অনেকে সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। কেউ কেউ বাড়ি ফিরিয়ে দিতেও চেয়েছেন। কিন্তু প্রতিবারই সেই সাহায্য নিতে অস্বীকার করেছেন। বরং নিজের টাকায় খাবার, চা কিনেই খান। বৃদ্ধা দাবি করেন, তিনি মোটেও ভিক্ষা করেন না। নিজের টাকায় খরচ চালিয়ে নেন।
বুদ্ধদেববাবুর পরিবাবের ঘনিষ্ঠ এক সিপিআইএম নেতা জানান, বৃদ্ধা সর্বদা আলাদা থাকতেন। কখনও কোনও জাগতিক বিষয়ে তাঁর আগ্রহ ছিল না। অপর এক বাম নেতা জানান, বুদ্ধদেববাবু যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখনও তাঁকে দু'বার ফুটপাত থেকে উদ্ধার করে আনা হয়েছিল। কিন্তু আবার বাড়ি ছেড়ে দিয়েছিলেন।