কপালে গেরুয়া তিলক দিয়ে পদ্মাসনে বসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে তিনি নিয়ে গিয়েছেন অনেককে। প্রায় এক ডজন বিধায়ক যোগ দিয়েছেন মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায়। আর এই তালিকায় নাম রযেছে প্রাক্তন বাম বিধায়ক অশোক দিন্দার। আর তখন শতাব্দী প্রাচীন দল চিঠি ধরিয়ে জানিয়ে দিল, পার্টি বিরোধী কাজ এবং গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য পার্টির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক তমলুক বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক দিন্দা ও পার্টির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সভ্য উত্তম প্রধানের সাধারণ সদস্যপদ–সহ সমস্ত পদ কেড়ে নেওয়া নিয়েছে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি। একইসঙ্গে তাঁদের দল থেকে বহিস্কার করা হল।
শনিবার এই চিঠি দলের পক্ষ থেকে প্রকাশ করেছেন সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। অশোকের সঙ্গে উত্তমও গেরুয়া বসন পরেছে বলে খবর। সুতরাং কোপ পড়েছে তাঁর উপরও। এখন দেখার অশোক দিন্দা দলকে কিছু জবাব দেয় কিনা।
জানা গিয়েছে, অশোক দিন্দা ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, দলের জন্য অনেক করেছেন। মেদিনীপুরে যেভাবে সংগঠন করতে চেয়েছিলেন, দল তাতে অনুমোদন করেনি। সুতরাং সিপিআইয়ের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ইচ্ছাটাই নেই। বরং বড় শরিকের লেজুড়বৃত্তি করে বেঁচে থাকতে চায়। সিপিআইকে মাঠে ময়দানে আন্দোলন করতে দেখা যায় না। সিপিএম কিছু করলে তখন সঙ্গে থাকে। তবে অশোক দিন্দা চলে যাওয়ায় সিপিআইয়ের হাত ফের খালি হয়ে গেল। কারণ বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গে নেই বললেই চলে।