প্রাক্তন স্বামী–স্ত্রীর দাম্পত্য কলহে ঘটে গেল শুটআউটের ঘটনা। বচসা চলাকালীন মুহূর্তের মধ্যে গুলি চালিয়ে দিল যুবক। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয়। রবিবার দাম্পত্য কলহের জেরে গুলি চলতে পারে কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। একেবারে প্রাক্তন স্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালনার অভিযোগ উঠল প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে। আর সেই গুলির জেরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রাক্তন স্ত্রী। এই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে মিনাখাঁ থানায়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত। এই গুলিচালনার ঘটনায় তদন্ত নেমেছে পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে মিনাখাঁয়? স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রাক্তন স্ত্রীকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিল প্রাক্তন স্বামী। কিন্তু এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন প্রাক্তন স্ত্রী। আর তাতেই রেগে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া স্ত্রীকে গুলি করে প্রাক্তন স্বামী। এটাকে খুন করার চেষ্টার ঘটনা হিসাবেই দেখা হচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ থানার মালঞ্চ মৌলি এলাকার ঘটনা এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই যুবকের নাম রবিউল সর্দার। সে বসিরহাটের ষোলাদানা এলাকার বাসিন্দা। তিনবছর আগে রুকসানা পারভিনের সঙ্গে বিয়ে হয় রবিউলের। তবে চার মাস আগে রুকসানা পারভিনের সঙ্গে রবিউল সর্দারের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এই বিবাহবিচ্ছেদের কয়েকদিন পরই রবিউল আবার রুকসানাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তা প্রত্যাখান করতেই চলে গুলি।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, রুকসানা পারভিনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বসিরহাটের রবিউল সর্দারের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই দু’জনের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকত। এই বিবাদ থেকেই বিবাহবিচ্ছেদের দিকে গড়ায় সম্পর্ক। তখন রুকসানা বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। সেখানে রবিবার রাতে হাজির হন রবিউল। আর আবার বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তখন তা প্রত্যাখ্যান করেন। আর তখনই হঠাৎ কোমর থেকে পিস্তল বের করে প্রাক্তন স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় রবিউল। তাঁর হাতে গুলি লাগে। তখন পালিয়ে যায় রবিউল।
আর কী জানা যাচ্ছে? রুকসানাকে লক্ষ্য করে পরপর তিনটি গুলি চালায় সে। একটি লাগে। বাকি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। রুকসানা পারভিনকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করেন। তারপর মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পলাতক রবিউলের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে মিনাখাঁ থানার পুলিশ। শুধু কি পারিবারিক অশান্তির জেরে চলল গুলি? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।