এবার চড়া সুর ধরলেন হাওড়া পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী। তিনি আবার লক্ষ্মীরতন শুক্লার ঘনিষ্ঠ এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়েরও কাছের লোক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু অরূপ রায়ের সঙ্গে অতটা সখ্যতা নেই বলে জেলার রাজনৈতিক মহলে খবর। তবে কারও নাম না করেই নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি।
লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদত্যাগ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা লক্ষ্মীর ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই বিষয়ে আমার মন্তব্য করা সাজে না। তবে দল এখন বেশ ভঙ্গুর ও সামঞ্জস্যহীন। যে কর্মীরা দলের জন্য একশো শতাংশ দিচ্ছেন, তাঁরাই বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে সরিয়ে নিতে হচ্ছে নিজেদের।’ এই মন্তব্য করে তিনি এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন। এক, লক্ষীর পাশেও দাঁড়ানো হল। দুই, রাজীবের পাশেও দাঁড়ানো হল। সঙ্গে দলের কাছেও বার্তা দেওয়া হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
রথীনের অভিযোগ, ‘দীর্ঘ দু’বছর ধরে পুরবোর্ড গঠন হয়নি। মানুষ পরিষেবা পাচ্ছে না। দলের উচিত ছিল নির্বাচন করানো।’ রথীন যখন বেসুরো গাইছেন, তখন হাওড়ায় দাঁড়িয়েই পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, কলকাতা–সহ যেসব পুরসভার নির্বাচন বাকি, তা ২০২১ সালে দ্রুতই হবে। করোনাভাইরাসের মহামারীর জন্য নির্বাচন করানো যায়নি। এবার তা হবে।
তবে শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগ এবং বিজেপিতে যোগদান নিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে এই ঘটনার প্রভাব পড়বে। দল থেকে চলে যাওয়াটা বড় বিপর্যয়।’ তাঁর এই মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করছেন জেলা তৃণমূলের একাংশ।