সোনালি বলেছিলেন, ওরা আসবে। আরও আসবে। আজ সেই কথাই যেন অক্ষরে অক্ষরে মিলতে চলেছে। তাই তো অমল আচার্য, সরলা মুর্মুর পর এবার দলে ফিরতে চাইছেন প্রাক্তন মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সরগরম হয়ে উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুর। তবে এখন বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন জেলা নেতৃত্ব। ফলে বাচ্চুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।
এত ঘটনা যে ঘটবে তা সোনালি গুহ জানলেন কি করে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, ফেরার কথা অনেকেই সোনালির কাছে ব্যক্ত করেছেন। বিজেপিতে থেকে কোনও লাভ নেই বলেও অনেকে বলতে শুরু করে দিয়েছেন। আর তাতেই এখন সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। একুশের নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগ দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের এই প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু বাচ্চুকে বিজেপি সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী কাজে লাগায়নি। সুতরাং বিজেপিতে গিয়েই মোহভঙ্গ হয়েছিল বাচ্চুর। তখনই দলে ফিরতে চেয়ে বার্তাও দেন তিনি। কিন্তু জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব তাঁকে দলে ফেরায়নি।
এই ‘না ঘরকা না ঘাটকা’ অবস্থায় পড়ে পুরনো পেশা স্কুল মাস্টারিতেই ফিরে যান বাচ্চু। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস হ্যাট্রিক করেছে। তাই বাচ্চুও ফেরার জন্য তদ্বির শুরু করেছেন। বাচ্চুর আবার দাবি, নির্বাচনের সময় গোপনে তিনি নাকি তৃণমূল কংগ্রেসের হয়েই কাজ করেছেন! তাঁর কথায়, ‘আমায় আগে দলে ফিরিয়ে নিলে সক্রিয়ভাবে প্রচার করতে পারতাম। এমনকী তপন, গঙ্গারামপুর এবং বালুরঘাট আসনটিও জিতিয়ে দিতে পারতাম। গোপনে যেটুকু পেরেছি সাহায্য করেছি। তাতেই অনেক ভাল ফল হয়েছে। এখন ফিরিয়ে নিলে আরও কাজ করতে পারব।’
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, বাচ্চুর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাই লোকসভায় তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে ২৩ হাজার ভোটে পিছিয়ে যায় দল। লোকসভা আসনটি তৃণমূল কংগ্রেসের হাতছাড়া হবার এটা মূল কারণ। বাচ্চুর বদলে কল্পনা কিস্কুকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে মাত্র ৪২০০ ভোটের ব্যবধানে হেরেছে দল। এতেই পরিস্কার বাচ্চুর গ্রহণযোগ্যতা একেবারেই নেই।