শান্তিপুরে প্রাক্তন বিধায়কের মূর্তি ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ দায়ের করল তৃণমূল

এখন প্রশ্ন উঠেছে, কে বা কারা ভাঙল? একুশের নির্বাচনে শান্তিপুর আসনটি পায় বিজেপি।

প্রাক্তন বিধায়ক অজয় দে–এর মূর্তি

আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সেই মর্মে প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাল কাটল শান্তিপুরের অশান্তি নিয়ে। এখানের পুরসভার প্রাক্তন পুর–প্রশাসক এবং প্রাক্তন বিধায়ক অজয় দে–এর মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। তাতেই ছড়িয়ে পড়েছে অশান্তি। এই ঘটনায় শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করল তৃণমূল কংগ্রেস।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, কে বা কারা ভাঙল? একুশের নির্বাচনে শান্তিপুর আসনটি পায় বিজেপি। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের ল্যান্ডসলাইড ভিক্ট্রি রাজ্যের সর্বত্র প্রভাব ফেলেছে। তাই এই উপনির্বাচনে আশাবাদী ঘাসফুল শিবির। কিন্তু‌ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়নি। বরং তাদের অভিযোগ, বিজয়া দশমীর দিন মাঝরাতে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন দুষ্কৃতী শান্তিপুর পুর এলাকার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে অজয় দে–এর আবক্ষ মূর্তি ভাঙচুর করে। এই ধরনের ঘটনাকে বিরোধীদের চক্রান্ত বলেও অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

পুলিশ সূত্রে খবর, এই মূর্তি ভাঙার ঘটনা নিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। কে বা কারা এই মূর্তি ভেঙেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। স্থানীয়দের সূত্র ধরেই এই মূর্তি ভাঙার রহস্য উন্মোচন হবে। কোনও রাজনৈতিক যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই ভাঙা মূর্তি সংস্কারের কাজ শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনা নিয়ে শান্তিপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বৃন্দাবন প্রামাণিক বলেন, ‘ঘটনার পিছনে বিরোধী দলের সদস্যরা জড়িত রয়েছে। এখন উপনির্বাচনের আর বেশি দিন বাকি নেই। তাই ভয় পাইয়ে দেওয়ার জন্যই বিরোধীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’ উল্লেখ্য, ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন অজয় দে।