একুশের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ্যে আসলেও রাজনৈতিক অশান্তি অব্যাহত রাজ্যে। এবার গুলিবিদ্ধ হলেন বাঁশবেড়িয়া পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান। এখন হাসপাতালে ভর্তি তিনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে বাজার করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন হুগলির তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আদিত্য নিয়োগী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাজারে থাকাকালীন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে আদিত্যবাবু। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। দলের নাম ভাঙিয়ে অনেকে টাকা লুট করেছিলেন পুরসভার থেকে। আর সেই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছিলেন আদিত্য। তাইই এই হামলা হতে পারে। আদিত্যের ছেলে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই ঘটনার তদন্তের অনুরোধ করব।’
হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শিরদাঁড়ায় গুলিটি আটকে রয়েছে। এই মুহূর্তে তাঁর অবস্থা সংকটজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাঁশবেড়িয়া বাজার এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে। স্থানীয় বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত জানান, দলেরই একটা অংশ তাঁকে হারাতে গোপনে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। পরে সব তথ্য প্রকাশ্যে আসে। গদ্দাররা ধরা পড়ে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
উল্লেখ্য, তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, রাজ্যে অশান্তি সহ্য করা হবে না। কোথাও কোনও ঝামেলা হলে কঠোর শাস্তি পেতে হবে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছেন। সেখান থেকেই পরিষ্কার হয়ে যাবে আততায়ী কে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। চুঁচুড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে টহল দিচ্ছে।