রাস্তা থেকে উদ্ধার হল একটি পূর্ণবয়স্ক মহিলা হায়নার দেহ। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার তালডাংরায় রাস্তার উপরে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই হায়নাটিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে বনদফতরের কর্মীরা হায়নার দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে বনকর্মীদের অনুমান, গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে হায়নার। তবে মৃত্যুর আসল কারণ জানার জন্য হায়নার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বনদফতর। এদিন রাস্তায় হায়নার মৃতদেহ দেখতে ভিড় জমে স্থানীয়দের।
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে কয়েকজন পথচারী রাস্তার উপরে হায়নার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পথচারীরা বনদফতরে খবর দেন। বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। সাধারণত বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জঙ্গলে বিভিন্ন সময় হায়নার উপস্থিতি লক্ষ করা গেলেও সাম্প্রতিক অতীতে তালডাংরা ও লাগোয়া জঙ্গলে হায়নার দেখা মেলেনি। তালডাংরা থেকে পাঁচমুড়ার রাস্তায় এই হায়নার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রমাণ হল তালডাংরা ও লাগোয়া জঙ্গলেও হায়না রয়েছে। হায়না যেহেতু সচরাচর একা থাকে না তাই বন দফতরের অনুমান, তালডাংরা ও আশপাশের জঙ্গলে আরও অনেক হায়না রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার আগে হায়নাটির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ভাবে জানাতে পারেনি বন দফতর।
আধিকারিকদের প্রাথমিক ধারণা, খাবারের খোঁজে অথবা নতুন বাসস্থানের খোঁজে হায়নাটি এসে পড়েছিল তালডাংরার জঙ্গলে। এলাকা নতুন হওয়ায় ওই এলাকার পরিবেশের সঙ্গে তেমন পরিচয় ছিল না হায়নাটির। তাই রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে দ্রুতগামী গাড়ির ধাক্কাতেই ওই হায়নাটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলেই মনে করছে বন দফতর। বনকর্মীদের দাবি, হায়নাটির মর্মান্তিক মৃত্যু দুঃখজনক হলেও তালডাংরা ও পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে হায়নার আগমন প্রমাণ করছে ওই জঙ্গলের বাস্তুতন্ত্র ভালো হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, এর আগে এলাকায় কখনও হায়না দেখা যায়নি। ফলে হায়নার মৃতদেহ দেখতে সেখানে ভিড় জমে স্থানীয়দের। হায়নাটির মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup