তৃণমূলে এলার্জি সিপিএমের। তাই ইন্ডিয়া জোটে থাকলেও সমন্বয় কমিটিতে কোনও প্রতিনিধি দেয়নি তারা। কারণটা স্পষ্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাসনে বসতে তার আপত্তি রয়েছে। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে সেই সমস্যা নেই।
ইতিমধ্যে রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে বেশ কয়েকটি ভোটেও লড়েছে সিপিএম। কিন্তু বামফ্রন্টের শরিক হিসাব ইন্ডিয়া জোটে থাকলেও কংগ্রেসের সঙ্গে দুরত্ব বজায় রাখতে চায় ফরওয়ার্ড ব্লক।
কেন এই ভাবনা? দলের মতে ইন্ডিয়া জোটি বাম শরিক হিসাবে থেকে নিজেরা বিজেপির বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র পরিচয় বজায় রাখতে চায় ফরওয়ার্ড ব্লক।
এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বার তাতে শিলমোহর দিল বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীও। দলের এই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে সিপিএমকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, দলের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কংগ্রেস সিপিএম জোটকে কেন সাগরদিঘি এবং ধুপগুড়ির ভোটে সমর্থন করা হয়েছিল? নরেন চট্টোপাধ্যায় আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, ‘সাগরদিঘিতে কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছিল। কংগ্রেস প্রার্থীর প্রচারে আমরা যায়নি। কিন্তু ধূপগুড়িতে প্রার্থী দেয় সিপিএম। তাই ধূপগুড়িতে আমরা সিপিএম প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছি। এই অবস্থান আগেই আমরা সিপিএমকে জানিয়েছি।’
আগামী দিনে বেশ কিছু কর্মসূচিও রয়েছে ফরোর্য়াড ব্লকের। আগামী ২৫ নভেম্বর প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষের ১০০তম জন্মবর্ষের অনুষ্ঠান শেষ হবে। ওই অনুষ্ঠানে সমস্ত বাম শরিকদেরই আমন্ত্রণ জানানো হবে। অশোক ঘোষের একটি রচনা সংকলও প্রকাশিত হবে ওই দিন।
এ ছাড়া দলের নারী সংগঠন অগ্রগামী মহিলা সমিতিরও একটি কর্মসূচি রয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর থেরে ১ অক্টোবর পর্যন্ত নারী নিরপত্তার দাবিতে কনভেশন হবে।