২০১৬ সালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে মাত্র একজন ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায়। তখন একটা আক্ষেপ ছিল তৃণমূল সুপ্রিমোর। পশ্চিম মেদিনীপুরের মানুষকে সেকথা তিনি জানিয়েছিলেন। তাই একুশের নির্বাচনে জেলার মানুষ বিপুল সাফল্য তুলে দিয়েছেন নেত্রীর হাতে। একেবারে চারজন মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁরা হলেন, সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া, ডেবরার হুমায়ূন কবীর, কেশপুরের শিউলি সাহা এবং শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো। মন্ত্রীর সংখ্যা বাড়ায় খুশি পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী–সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষরা।
২০১৬ সালে পিংলার বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে মন্ত্রিসভায় একমাত্র প্রতিনিধি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব দেয় দল। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জেতেন। সোমবার তিনি মন্ত্রীও হয়েছেন। অধিকারী গড় কার্যত মুছে দিয়েছেন তিনি। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন অখিল গিরিও। ঝাড়গ্রাম থেকে প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন বীরবাহা হাঁসদা। আর আক্ষেপ নেই নেত্রীর। তাই নিজে হাতে করে মন্ত্রিসভায় জায়গা দিলেন তিনি। খুশি সবাই।
এখন মানস ভুঁইয়া পূর্ণমন্ত্রী, হুমায়ুন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী, শ্রীকান্ত এবং শিউলি প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। শিউলি এবং শ্রীকান্ত দু’জনেই তিনবারের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। আইপিএস অফিসার হুমায়ুন কয়েক মাস আগে পুলিশের চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৫টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে এবার ১৩টিতেই জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি জিতেছে ২টি কেন্দ্রে।