বিষমদ পান করেই কী মৃত্যু হল চারজনের? মনসা পুজোর শেষে মদের সঙ্গে জল মিশিয়ে পান করতেই নিস্তেজ হয়ে পড়ল দেহগুলি। এমনই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার অন্তর্গত রানা এলাকায়। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কযেকজন বলে খবর। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। কারণ কয়েক বছর আগেই এই জেলাতেই বিষমদ খেয়ে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এক জায়গায় বসে মদ খাচ্ছিলেন কয়েকজন। মদে জল মেশাতেই বাড়ে বিপত্তি। গলা জ্বলতে শুরু করে প্রত্যেকের। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চারজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানার অন্তর্গত কৃষ্ণমোহন রেল স্টেশনের কাছে রানা এলাকায়। এখানে রথীন গায়েনের বাড়িতে মনসা ঠাকুরের গানের অনুষ্ঠান চলছিল। মঙ্গলবার ছিল সেই অনুষ্ঠানের শেষ দিন। এখানে ৬–৭ জন মিলে রথীন গায়েনের একটি মুরগির পোল্ট্রি ফার্মে বসে মদ্যপান করছিলেন।
তারপর ঠিক কী ঘটল? জানা গিয়েছে, হঠাৎ মদ্যপদের জলের প্রয়োজন হয়। তখন মদ্যপ অবস্থায় এক যুবক জল আনতে যায়। আর নেশার ঘোরে জলের বোতল ভেবে ফর্মালিন নিয়ে যায় সে। জলের মতো ঢেলে দেয় মদের গ্লাসে। আর তা সবাই খেয়ে গলা জ্বালায় ছটফট করতে থাকে। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। আর হাসপাতালে নিয়ে গেলে একজনের মৃত্যু হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ফর্মালিন আসলে কীটনাশক। তা খেয়ে ফেলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এই খবর জানতে পেরেই বারুইপুর থানার আইসি দেবকুমার রায় বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে মহকুমা হাসপাতালে যান। যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাদেরকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে।