ছত্তিশগড়ের সুকমায় সতীর্থের গুলিতে নিহত হন চার সিআরপিএফ জওয়ান। নিহত জওয়ানের মধ্যে একজন নদিয়ার কৃষ্ণনগরের দেবগ্রামের বাসিন্দা। নাম রাজীব মণ্ডল। রাজীবের মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম।
জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগরের দেবগ্রামের বাসিন্দা রাজীব সুকমায় মারাইগুরা গ্রামে সিআরপিএফ ব্যাটেলিয়ানে কর্মরত ছিলেন। রাজীব বছর দশেক আগে চাকরি পেয়েছিলেন সিআরপিএফে। ছোটোবেলা থেকেই খেলাধুলোয় খুবই উৎসাহী ছিল রাজীব। এলাকায় সকলেরই খুবই পরিচিত ছিলেন তিনি। এদিন ভোরে ছত্তিশগড়ের সিআরপিএফের ৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়নে গুলিচালনার ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় রাজীব-সহ চার সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়। আহত হয়ে অনেকে ছত্তিশগড়ের রাইপুর হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন। কিন্তু রাজীবকে বাঁচানো যায়নি। সকাল ৭টা নাগাদ সিআরপিএফের কন্ট্রোল রুম থেকে রাজীবের মৃত্যু সংবাদ জানানো হয় তাঁর পরিবারকে। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন রাজীবের পরিবারের সদস্যরা।
রাজীবের গ্রামের এক বন্ধু মোতালেফ শেখ জানান, ‘রাজীব খুব ভালো ছেলে ছিল। খুব নম্র ও ভদ্র ছেলে ছিল। যখনই আসত, তখনই আমাদের ফোন করে ডাকত। চাকরি পেতে গেলে কীভাবে প্রশিক্ষিত হতে হয়, সে সবকিছুই শেখাত ও। নানারকমের গল্প করত।’ পুরনো স্মৃতির প্রসঙ্গ তুলে রাজীবের ওই বন্ধু জানান, রাজীবের যে বছর চাকরি হয়েছিল, সেই বছর সেও রাজীবের সঙ্গে পরীক্ষায় বসেছিল। মোট চারজন গিয়েছিলেন তাঁরা। তিনজনের চাকরি হয়েছিল। তাঁর হয়নি। গ্রামবাসীরা জানান, সিআরপিএফ ক্যাম্পের মধ্যে নিজেদের মধ্যে অশান্তির কারণেই এই গুলি চালনার ঘটনাটি ঘটে। তবে কী কারণে এই অশান্তি তা জানা যায়নি।