নিয়োগ দুর্নীতি করে চাকরিতে এবার নাম জড়াল ময়নাগুড়ির প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কেরও। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ময়নাগুড়ি প্রাক্তন বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারীর লেটারপ্যাডে লেখা গ্রুপ–ডি চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা। আর ওই নামের তালিকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেও নিয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশেই পাঁচজনের নামের ওই নামের তালিকা পাঠিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক। তবে তাঁরা কেউ চাকরি পাননি বলেও প্রাক্তন বিধায়কের দাবি।
ঠিক কী বলছেন অনন্তদেব? এই দাবির পাশাপাশি অনন্তদেব অধিকারী বলেন, ‘আমার ছেলেমেয়ে দু’জনেই স্নাতকোত্তর পাশ এবং টেট উত্তীর্ণ। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সুপারিশে ওদের নামও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দিয়েছিলাম। যোগ্যতা থাকলেও ওদের নিয়োগ হয়নি। এখন বোঝাই যাচ্ছে, তখন টাকা ছাড়া নিয়োগ হয়নি। এই সব নিয়ে এখন বিতর্ক করে কী লাভ।’
কেমন করে সামনে এল এই নথি? ইডি সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েই বেশ কিছু নথি মিলেছে। তার মধ্যে ময়নাগুড়ির প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারীর লেটারপ্যাডে সুপারিশ করা পাঁচজন চাকরিপ্রার্থীর নাম পাওয়া গিয়েছে। এই লেটারপ্যাডে চিঠি যখন পাঠানে হয়েছিল তখন অনন্তদেব অধিকারী বিধায়ক। এমনকী একটি সাদা কাগজে আপার প্রাইমারির ৪৮ জন চাকরি প্রার্থীর রোল নম্বরও তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পাঠিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, অনন্তদেব অধিকারী আরএসপি করতেন। রাজ্যে পালাবদলের পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। ২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জেতেন। গত বিধানসভায় দল তাঁকে টিকিট দেয়নি। সম্প্রতি পুরসভা নির্বাচনে দল ফের তাঁকে প্রার্থী করে এবং পুরবোর্ডের চেয়ারম্যানও করা হয়। এখন এই তথ্য সামনে আসায় ইডি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।