কোচবিহারে এক সরকারি কর্মচারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে গেল ৮৩ হাজার ৪০৫ টাকা। কিন্তু ওই মহিলা কর্মচারীর দাবি, তিনি ওটিপি শেয়ার করেননি। তিনি কোনও লিঙ্কেও ক্লিক করেননি। আবার তাঁর কাছে প্রতারকদের কোনও ফোনও আসেনি। সেক্ষেত্রে কীভাবে হল এই ঘটনা?
সূত্রের খবর, ওই মহিলা কর্মচারীর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আচমকাই তাঁর ফোনে এসএমএস আসে যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৮৩হাজার ৪০৫টাকা কাটা হয়েছে। এরপরই তিনি অনলাইন ব্যাঙ্কিংয়ের সাইটে গিয়ে দেখেন সেখানে পাসওয়ার্ড দিলেও খোলা যাচ্ছে না। এরপর তিনি ফরগেট পাসওয়ার্ড অপশনে গিয়ে নতুন করে পাসওয়ার্ড দিয়ে অনলাইন ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় যান। সেখানে দেখেন তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ওই বিপুল টাকা ইতিমধ্যেই ভ্যানিস হয়ে গিয়েছে।
এরপরই তিনি দ্রুত ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ারে গোটা বিষয়টি জানান। সেখান থেকে তাঁর যাবতীয় অনলাইন ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে লক করে দেওয়া হয়। এরপর তিনি সাইবার ক্রাইমে অনলাইনে অভিযোগ জানান। পরে তিনি কোচবিহার পুলিশের সাইবার সেলেও অভিযোগ জানান।
কিন্তু কোথায় গেল তাঁর টাকা? কীভাবে ফাঁদ পেতেছিল প্রতারকরা? প্রাথমিক তদন্তে সাইবার সেলের আধিকারিকদের ধারণা, সম্ভবত কোনওভাবে সিমের ক্লোন তৈরি করেছে প্রতারকরা। অর্থাৎ গ্রাহকের মতই দ্বিতীয় একটি সিম তৈরি করে এই প্রতারণা করা হয়েছে। সেই সিমেই গিয়েছে ওটিপি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে তাঁর ইউজার নেম বা পাসওয়ার্ড কীভাবে পেল প্রতারকরা?
এদিকে বিশেষজ্ঞদের ধারণা প্রতারকরা ওই টাকা দিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনেছে। তবে এই ভয়াবহ ব্যাঙ্কিং প্রতারণা ভাবাচ্ছে অনেককেই। ইতিমধ্যেই ব্য়াঙ্ক কর্তৃপক্ষও এনিয়ে বিভিন্ন মহলে খোঁজখবর নিচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্দেহজনক অ্যাপ ব্যবহার করবেন না। এটা ভয়াবহ হতে পারে।