এবার সরকারি স্কুলে গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের নামে প্রতারণার অভিযোগ আরামবাগে। অভিযোগ, মোটা টাকার বিনিময়ে সরকারি স্কুলে গ্রুপ ডি কর্মী পদে বেকার যুবক যুবতীদের নিয়োগে করছে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। কিন্তু বেতন পাচ্ছেন না সেই কর্মীরা। দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে অবশেষে আরামবাগ থানায় সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বেশ কয়েকজন প্রতারিত। তবে প্রশ্ন উঠছে, NGOর মাধ্যে গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের অনুমতি স্কুলকে দিল কে?
প্রতারিতরা জানিয়েছেন, সরকারি স্কুলে গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ হচ্ছে NGOর মাধ্যমে। গত বছর আরামবাগ ও লাগোয়া এলাকায় এই খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন জায়গায় কয়েকজন ব্যক্তি সেই নিয়োগের জন্য বেকার যুবক যুবতীদের প্রস্তাব দিতে থাকেন। সেজন্য ৩০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চাওয়া হয় তাদের কাছ থেকে। এর পর মহকুমার বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ করা হয় তাঁদের। জানানো হয়, মূলত স্কুল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখারই তাদের কাজ।
কিন্তু চাকরিতে যোগদানের পর ৬ মাস কেটে গেলেও এখনও বেতন পাননি ওই গ্রুপ ডি কর্মীরা। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বেতনের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তারা জানায়, এই কর্মীদের বেতন দেবে ওই NGOই। এর পর NGOর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ওই কর্মীরা দেখেন বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন সংস্থার কর্মীরা। প্রতারিত হয়েছেন বুঝে অবশেষে আরামবাগ থানায় NGOর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। এভাবে NGOটি কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করে পালিয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
এই ঘটনার ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন আরামবাগে সহকারী জেলা স্কুল পরিদর্শক। প্রশ্ন উঠছে তাহলে সরকারি স্কুলে বেসরকারি কর্মী নিয়োগ হল কার অনুমতি নিয়ে? কী ভাবে বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা সরকারি স্কুলে কাজে যোগদান করলেন? সেই দায় এড়িয়েছে স্কুলগুলি। তাদের দাবি, বেতন দেওয়ার কথা ছিল NGOর। সরকারি প্রকল্পেই এই কাজ হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছিল আমাদের।
এব্যাপারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পুরো রাজ্যটাই দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। রাজ্যে নিয়োগের নামে দুর্নীতি আর নতুন কী? আমরা তো এসবই দেখছি।