ভিক্ষা করে সারাজীবনের সঞ্চয় জমিয়ে রেখেছিলেন ট্রাঙ্কে। পাঁচ দিন আগেই এক মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। মেয়ের মৃত্যুর পর আশি বছর বয়সি বৃদ্ধার জীবন যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে কাটতে পারে, সেজন্য এগিয়ে এলেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। ট্রাঙ্ক খুলে শুরু হয়েছে টাকা গোনার কাজ। টাকা গুনে হিসাব করে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখার ব্যবস্থা করা হবে বৃদ্ধার জন্য।
জানা গিয়েছে, বৃদ্ধার নাম শৈলবালা মহন্ত। তাঁর বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের শান্তিনগর এলাকায়। অভাবের সংসারে বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করেই তাঁর দিন কাটত। শৈলবালার দুই মেয়ে। একজনের নাম কণিকা মহন্ত ও আরেকজনের নাম মনিকা মহন্ত। কিছুদিন আগেই কণিকার মৃত্যু হয়েছে। মণিকা অনেকটাই মানসিক অবসাদগ্রস্ত। কণিকার এক দাদা রয়েছে। ইসলামপুরেই থাকেন। কণিকার মৃত্যুর পর বৃদ্ধার পরিবারের লোকেরা বাড়ি থেকে তিনটি ট্রাঙ্ক উদ্ধার করে। ট্রাঙ্ক খুলে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান, তাতে টাকা গচ্ছিত রয়েছে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারাই উদ্যোগ নিয়ে সেই টাকা গুনতে শুরু করেন। অনুমান করা হচ্ছে, প্রায় লক্ষাধিক টাকা রয়েছে ট্রাঙ্কে।
এলাকার এক বাসিন্দা জানান, ওই গচ্ছিত টাকাগুলির সুষ্ঠু সমাধান করা দরকার। বৃদ্ধার মেয়ের শেষ কৃত্যের জন্য কিছু টাকা খরচ হবে। বাকি টাকাটা ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখা হবে। বৃদ্ধার পরিবারের এক সদস্য জানান, ‘শুনেছি তিন ট্রাঙ্ক টাকা রয়েছে। আমি জানতাম ভিক্ষা করে এই টাকা এসেছে। এতদিন এই বিষয়ে কিছুই জানতাম না। ওই টাকা কোনও খারাপ কাজে লাগবে না।’