বিষাক্ত স্যালাইনকাণ্ডে সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়েছে এক প্রসূতির। এছাড়াও, অসুস্থ হয়েছেন আরও চারজন। সেই ঘটনার পরেই তোলপাড় হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ ও স্যালাইন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই আবহে এবার আরও একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের স্যালাইনের বোতলে মিলল ছত্রাক। রবিবার রাতে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগে লিঙ্গার ল্যাকটিকের স্যালাইনের বোতলে ছত্রাক মিলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: নদিয়ার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিষিদ্ধ স্যালাইন, চিকিৎসককে দায়ী করলেন নার্স
এবিষয়ে অভিযোগ তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাদের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের স্যালাইন নিষিদ্ধ হওয়ার পরেই নতুন ব্যাচের স্যালাইন এসেছে তাতে ছত্রাক পাওয়া গিয়েছে। বোতলের ভিতরে সাদা সাদা কিছু ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে, যা দেখে মনে হচ্ছে সেটি ছত্রাক। এই অবস্থায় এত বড় একটি সরকারি হাসপাতালে রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস-এর ওষুধ ও ছত্রাক নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর যে নতুন সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের স্যালাইনেই এই ছত্রাক পাওয়া গিয়েছে। অভিযোগ, এই স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে প্রসূতি বিভাগে। যদিও এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, স্যালাইন কাণ্ডের পরেও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইনের ছত্রাক পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। জানা যায়, ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান থেকে স্যালাইনের বোতল কিনেছিলেন রোগীর পরিজনরা। এরপর স্যালাইনের বোতল নিয়ে ওয়ার্ডে যান রোগীর পরিবারের সদস্যরা। সেখানেই নার্স দেখতে পান বোতলের মধ্যে মধ্যে কিছু ভেসে বেড়াচ্ছে। এরপরেই স্যালাইনের বোতল নিয়ে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা। তাদের বক্তব্য ছিল, এরফলে রোগীর ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে পারত। ফের কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে অন্য সংস্থার স্যালাইনের বোতলে ছত্রাক মেলায় উদ্বেগ বেড়েছে। প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়াও এফআইআর হয়েছে ৬ চিকিৎসকের নামে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ঘটনার জন্য চিকিৎসকদের দায়ী করেছিলেন।