বাপের বাড়ির লোকেদের না জানিয়েই গৃহবধূকে সৎকার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ৩ দিন পর প্রতিবেশিদের মারফত সব জানতে পারে মেয়ের বাড়ির লোকেরা। গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
গোটা ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের শৌলমারীর অন্তর্গত ১৮২ সারোহাটি এলাকায়। ৪ বছর আগে মেখলিগঞ্জেরই উপনচৌকি এলাকার বাসিন্দা অন্ন বর্মনের মেয়ে সুকন্যার সঙ্গে বিয়ে হয় সারোহাটির বাসিন্দা সুদীপ বর্মনের। জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সুকন্যার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত বলে অভিযোগ উঠেছে। সুকন্যার মা অন্ন বর্মনের অভিযোগ, ‘গত ১০ মে সুকন্যাকে গলা টিপে হত্যা করে শ্বশুর, শাশুড়ি ও জামাই। বৃহস্পতিবার সকালে মেয়ের বাড়ির প্রতিবেশিদের থেকে মৃত্যুর খবর জানতে পারি।’ জানা যায়, সুকন্যার একটি পুত্রসন্তানও হয়।
ইতিমধ্যে মেখলিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সুকন্যার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। গৃহবধূকে খুন করা হয়েছে নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ লুকিয়ে রয়েছে, পুলিশ তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে। প্রশ্ন উঠছে, গৃহবধূর মৃত্যুর পরও কেন তাঁর নিজের বাড়ির লোককে জানানো হয়নি। তাহলে কী গৃহবধূর মৃত্যু স্বাভাবিকভাবে হয়নি। পাশাপাশি আরও একটি প্রশ্ন উঠে আসছে, সেটি হল প্রমাণ লোপাটের জন্যই কী বাপের বাড়ির লোকেদের না জানিয়েই গৃহবধূর সৎকার করে দেওয়া হল।