গাইঘাটায় স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের হাতে যুবক খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য এল পুলিশের হাতে। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃতরা জেরায় স্বীকার করেছে, নিহত রামকৃষ্ণ সরকারের দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে তা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাতে সফল না হওয়ায় দেহ পুঁতে দেয় তারা।
বুধবার গাইঘাটার গোয়ালবাথান গ্রামে সুজিত দাস নামে এক যুবকের বাড়ির খাটের তলায় মাটি খুড়ে উদ্ধার হয় রামকৃষ্ণ দাস নামে এক যুবকের দেহ। এলাকাবাসীর দাবি, রামকৃষ্ণের স্ত্রী সপ্নার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সুজিতের। এর পর সুজিত ও স্বপ্নাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় ধৃতরা স্বীকার করেছে সোমবার খুন করা হয় রামকৃষ্ণকে। সেদিন স্বামীকে নিয়ে প্রেমিক সুজিতের বাড়িতে যায় স্বপ্না। সেখানে মদ্যপান করে তারা। এর পর তারা বেড়াতে বেরোয়। ফেরার পথে সুজিতের সঙ্গে রামকৃষ্ণর বচসা বাঁধে। সেজন্য তাকে এক চড় মারেন ওই যুবক। এই নিয়ে ২ জনের হাতাহাতি বাঁধলে মত্ত অবস্থায় রামকৃষ্ণর মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করেন সুজিত। তাতেই মৃত্যু হয় রামকৃষ্ণের।
এর পর দেহটি একটি বাঁশবাগানে ফেলে রাখে তারা। রাতে দেহটি সুজিতের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলার পরিকল্পনা করে স্বপ্না ও সুজিত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা করতে পারেনি তারা। এর পর সুজিতের খাটের নীচে পুঁতে দেওয়া হয় দেহটি। বুধবার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।