হাতে আর দু’দিন বাকি। তারপর ৩১ অগস্ট গোটা দেশজুড়ে পালিত হবে গণেশ পুজো। সেই উপলক্ষ্যে মূর্তি নিয়ে আসা হচ্ছিল ট্রেনে। এই যাত্রার জন্য টিকিট পর্যন্ত কাটা হয়েছিল। বৈধ টিকিট কেটেই ট্রেনে ওঠা হয়েছিল। কিন্তু ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় গনেশ মূর্তিকে বলে অভিযোগ। এভাবে ট্রেনে হেনস্তার শিকার ‘ঈশ্বর’–কে হতে হবে তা কেউ কল্পনাও করেননি।
ঠিক কী ঘটেছে ট্রেনে? আর দু’দিন পরই গণেশ চতুর্থী। তাই শান্তিপুরের মৃৎশিল্পী সৌরাজ বিশ্বাস তৈরি করেছিলেন তিন ফুট উচ্চতার একটি গণেশ মূর্তি। যা কলকাতায় পৌঁছে দেওয়ারর কথা ছিল। অর্ডার থাকায় সৌরাজ তাঁর কর্মচারী তাপস পালকে দিয়ে মূর্তিটি ট্রেনে করে পাঠিয়েছিলেন। তাপস পাল এবং মূর্তিটির বৈধ টিকিট কাটা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও শান্তিপুর–শিয়ালদহ লোকাল ট্রেনের ভেন্ডার কম্পার্টমেন্টের বগিতে মৃৎশিল্পীর ওই কারিগরকে মানসিক নির্যাতন করা হয় এবং নামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
কেন এমন ঘটনা ঘটল? জানা গিয়েছে, মূর্তি নিয়ে ট্রেনে যাওয়া যাবে না বলে তাঁর উপর চাপ দেওয়া হয়। এই কাজ করেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। তখন বচসা শুরু হয় তাপস পালের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের। এই অবস্থা তৈরি হতেই শান্তিপুরের পরের স্টেশন বাতনা কৃত্তিবাস স্টেশনে তাপস পালকে মূর্তি–সহ জোর করে নামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে মূর্তিটির কিছু অংশের ক্ষতি হয়েছে।
কী প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে? এই ঘটনা ঘটায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে নদিয়া জেলা অনুন্নত কুম্ভকার সমিতি। বৈধ টিকিট থাকা সত্ত্বেও কেন গণেশ মূর্তিকে নামিয়ে দেওয়া হবে? উঠেছে প্রশ্ন। সমিতির পক্ষ থেকে শান্তিপুর স্টেশনে জিআরপি অফিসে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই সমিতির শীষ সদস্য মুন্না পাল বলেন, ‘বৈধ টিকিট থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছি।’ পরে বিকল্প ব্যবস্থা করে সিদ্ধিদাতাকে ট্রেনে করেই কলকাতায় পাঠানো হয়।