গঙ্গাসাগর মেলায় পূণ্য স্নানের জন্য প্রত্যেকবারই ভিড় হয়। কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে, সারাবছরই এখানে পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন। সাগর দ্বীপে উইকএন্ড ট্যুরেও আসছেন অনেকে। কপিলমুনি আশ্রমে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি সাগরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান অনেকেই। তাই ভিড় বাড়ে পর্যটকদের। আর গঙ্গাসাগর মেলার সময়ে তো ভিড় আছে পড়ে সাগরপাড়ে। কারণ তখন সারা দেশে থেকে পুণ্যার্থী আসতে থাকে। আর তাই পুণ্যার্থী থেকে পর্যটক সকলের কথা মাথায় রেখে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হস্টেল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেটা ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের গঙ্গাসাগর মেলায় উপহার পাবেন পুণ্যার্থীরা বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এটাই এখন চর্চিত বিষয়।
আগামী ১৫ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে বাড়িটি তৈরি কাজ শেষ করে ফেলা হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এই বাড়ি বা পরিকাঠামো তৈরির কাজ করে থাকে পূর্ত দফতর। পর্যটন এবং তথ্য সংস্কৃতি দফতরের নানা প্রকল্পের কাজ করে পূর্ত দফতর। গঙ্গাসাগরে হস্টেল তৈরির কাজও করছে পূর্ত দফতর। তাই এই প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে কদিন আগে নবান্নে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় এবং পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তার সঙ্গে ছিলেন উচ্চপদস্থ অফিসাররা।
আরও পড়ুন: ‘আমি শুধু ন্যায়বিচার চাই’, আরজি কর কাণ্ডে মেয়ের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ নিতে অস্বীকার বাবার
এই বৈঠকেই ডিসেম্বর মাসের ১৫ তারিখের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের একদম শুরুতে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তার আগে হস্টেলের কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কারণ তখন তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই এই নতুন বড় হস্টেলের উদ্বোধন করিয়ে নেওয়া যাবে। এমন পরিকল্পনাই করা হয়েছে। এই হস্টেল চালু হয়ে গেলে গঙ্গাসাগর মেলার সময় এবং বছরের অন্যান্য সময়েও পুণ্যার্থী থেকে পর্যটকরা উপকৃত হবেন। থাকার ব্যবস্থা আরও ভালো হবে বলেও রাজ্যের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।
এছাড়া পর্যটন দফতরের গন্ধিঘাট সংলগ্ন এলাকায় সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ১৮ কোটি টাকা ব্যয় করে তা গড়ে তোলা হবে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘উৎসধারা’। এই প্রকল্পের কাজ ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকী তথ্য সংস্কৃতি দফতরেরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের দায়িত্ব রয়েছে পূর্ত দফতরের উপরে। যার কাজ দ্রুততার সঙ্গে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। টালিগঞ্জের চলচ্চিত্র শতবর্ষ ভবন থেকে শুরু করে প্রিন্স আনওয়ার শাহ রোডের কাছে মিউজিক অ্যাকাডেমি বিল্ডিং দ্রুত করার কথা বলা হয়েছে।