নদী ভাঙন পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম একটি বড় সমস্যা। বর্ষার সময় তো বটেই, এমনকী অন্যান্য সময়ে জলে তলিয়ে যাচ্ছে নদী। সম্প্রতি এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকেও নদী ভাঙন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে সাহায্য চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গঙ্গাপাড়ে ভাঙনের ফলে ঘরছাড়া হচ্ছেন বহু মানুষ, যা এখন একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকী গুরুত্বপূর্ণ জায়গাও গঙ্গা ভাঙনের কবলে পড়েছে। এরকম চলতে থাকলে প্রচুর পরিমাণে জমি গঙ্গাবক্ষে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় এবার গঙ্গার ভাঙন নিয়ে মামলা দায়ের হল জাতীয় পরিবেশ আদালতে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গঙ্গাবক্ষে ক্রমাগত পলি জমার ফলে নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে। আর এর ফলে বেশ কিছু জায়গায় ভাঙন দেখা দিচ্ছে। এ বিষয়ে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ করার আর্জি জানানো হয়েছে মামলায়। পরিবেশকর্মীরা মনে করছেন, রাজ্যে গঙ্গাপাড়ের ভাঙন বহু জায়গায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এমনকী গঙ্গার ভাঙনের জেরে হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেন বড় সমস্যার মুখে রয়েছে। বোটানিক্যাল গার্ডেনের অনেকটাই অংশ জলের তলে চলে গিয়েছে। শুধু বোটানিক্যাল গার্ডেনে নয়, রাজ্যের বহু অংশেই কৃষি জমি যেমন গঙ্গাবক্ষে তলিয়ে যাচ্ছে তেমনি গঙ্গাপাড়ে থাকা বহু ঘরবাড়িও তলিয়ে যাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, জানা গিয়েছে গঙ্গার উন্নয়ন, নদীর ধারে গাছ লাগানো, নদীর তীরে ব্যবস্থাপনা-সহ নমামী গঙ্গে প্রকল্পের অধীনে ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ১৩,১০৮.৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তারইমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে ১২৩২.৮৭ কোটি টাকা। তবে সেই টাকা পর্যাপ্ত নয় বলেই মনে করছে বিশিষ্ট মহল।