পদ্মার ইলিশ নিয়ে নানা টালবাহানা থাকলেও অবশেষে চড়া দামে তা মিলেছিল। কিন্তু এবার উৎসবের মরশুমে বাড়তি পাওনা হয়েছে গঙ্গার ইলিশ। ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উঠছে ফরাক্কার গঙ্গায়। এমনকী ৩০০ টাকা কিলো দরে বিকোচ্ছে ছোটো ইলিশ। একটু বড় হলেই দাম ৭০০ থেকে ১,০০০ টাকা কিলো। দেড় থেকে দু’টনের উপর ইলিশ ধরা পড়ছে সোমবার থেকে। মৎস্যজীবীদের জালে এখন ইলিশের রমরমা।
বাংলাদেশে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। এখন সমুদ্রের নোনা জল ছেড়ে ইলিশ পদ্মা, গঙ্গার মিষ্টি জলে ডিম পাড়তে আসে। তাই চোরাপথে বেশ কিছু বাংলাদেশের ধীবরও এখন এই দেশের পদ্মায় আনাগোনা শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বিএসএফের হাতে ধরাও পড়েছে অন্তত ১০ জন। মুর্শিদাবাদের গঙ্গা, পদ্মায় যে ইলিশ মিলছে তার খোঁজে বাংলাদেশের মৎস্যজীবীরাও ভারতে ইলিশ ধরতে সীমানা ভাঙছে বলে বিএসএফের অভিযোগ।
ইলিশ না ধরার নিষেধাজ্ঞা মানতে মৎস্যজীবীদের বাধ্য করতে পেরেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই রাজ্যে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেভাবে তা মেনে চলা হয় না। তার ফলেই ধুলিয়ান থেকে ফরাক্কা পর্যন্ত গঙ্গায় ইলিশের খোঁজে মৎস্যজীবীদের রমরমা। বাংলাদেশের পদ্মা বেয়ে ইলিশের ঝাঁক গঙ্গায় চলে আসায় ফরাক্কা বাঁধের উজানে ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রতি বছরই ইলিশের ঝাঁক দেখা যায়। ফরাক্কার বাজারে মঙ্গলবার থেকে ইলিশের আমদানি প্রায় দেড় থেকে দু’টন। বড় ইলিশের দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কমেছে। ২৫০ থেকে ১ কিলো সবরকমের মাছই রয়েছে। রাজ্য মৎস্য দফতরের ব্যাখ্যা, পদ্মা নদী নিমতিতার আগে মিশেছে গঙ্গায়। পদ্মার বাঁকা পথেই বাংলাদেশ থেকে ইলিশের ঝাঁক ঢুকছে ফরাক্কায়।