গাংনাপুর গণধর্ষণ কাণ্ড হাই কোর্টে যাওয়ার পর এবার নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। এই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসাবে এক পঞ্চায়েত সদস্যের নাম উঠে এসেছে। যদি যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই গণধর্ষণকাণ্ডে ধৃতরা হলেন আতিয়ার মণ্ডল, সরাফিল মণ্ডল, সইফুল দপ্তরী, হাতেম মণ্ডল, মইরুদ্দি মণ্ডল ও মণিরুল মণ্ডল। আতিয়ারকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে রানাঘাট মহকুমা আদালত। পাশাপাশি বাকি ৫ জনের ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গৃহবধূর ওপর গণধর্ষণের ঘটনায় মাঝেরগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মতিয়ার রহমান মণ্ডলের নাম সামনে এসেছে। গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল তাঁর দিকে উঠলেও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, ‘ওই গৃহবধূর সঙ্গে ইসরাফিল মণ্ডলের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। ইসরাফিলের সঙ্গে অসংলগ্ন অবস্থায় পাওয়া যায় ওই মহিলাকে। ৯ মাস ধরে তাঁদের মধ্যে এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। মান সম্মানের কারণেই কীটনাশক খেয়েছিলেন ওই গৃহবধূ।’
উল্লেখ্য, গত ৬ মার্চ গাংনাপুর থানার মাঝেরগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রাত ১১টা নাগাদ বাড়িতে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের পর ওই গৃহবধূকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। প্রথমে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গৃহবধূকে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। নার্সিংহোম থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। গত ১৪ মার্চ ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।গত ২১ এপ্রিল রানাঘাট মহকুমা আদালতের এক আইনজীবী হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। হাই কোর্টে যাওয়ার পরই অভিযুক্তদের ধরপাকড় শুরু হয়।