অজানা জ্বরে মালদহ থেকে জলপাইগুড়ি শিশু মৃত্যুর খবরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। আর এই মালদহেই এবার এক স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রীতিমত শিউরে উঠেছেন এলাকাবাসী। এই গণধর্ষণের ঘটনায় তিন ব্যক্তি জড়িত বলে খবর মিলেছে। এমনকী তারা শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ নাবালিকার পরিবারের। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের রতুয়া থানার দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাকাইয়া গ্রামে।
ঠিক কী ঘটেছে মালদহে? নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়ে টিউশনিতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। কিন্তু পাশের গ্রাম বালুপুর এলাকার বাসিন্দা রহিমুল হক নাবালিকাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়। তারপর মুখ চেপে ধরে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। এমনকী মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করিয়ে রহিমুল ও তার দুই সাঙ্গপাঙ্গ মিলে সারাদিন ধরে গণধর্ষণ করেছে। এই নির্যাতনের পর ফাঁকা সময় দেখে গ্রামে ফেলে দিয়ে চলে যায়।
পুলিশকে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, এই নির্যাতন করে ফেলে যাওয়ার পর একটু জ্ঞান ফিরতেই কোনরকমে ওই নাবালিকা বাড়িতে ফেরেন। তারপর সব কথা পরিবারের লোকজনকে খুলে বলেন। তখনই পরিবারের সদস্যরা রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় পুলিশ পদক্ষেপ করছে না বলেও অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এখানে শাসক–বিরোধী বলে কোনও বিষয় নেই। আইন আইনের পথেই চলবে। অপরাধীকে ধরা হবেই। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত তিনজন পলাতক। তবে তাদের খোঁজ করা হচ্ছে। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কে, কি করেছে তার দায় তৃণমূল কংগ্রেস নেবে না। প্রশাসন ও পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।